নিউরালিঙ্ক এই চিপটি প্রথম প্রযুক্তি সংস্থা গত বছরের সেপ্টেম্বরে মানব দেহে পরীক্ষা করার অনুমতি পেল। এই বিশেষ চিপটি গত মাসে প্রথম ব্যক্তির মস্তিষ্কে সফলভাবে বসানো হয়েছে। এটির মাধ্যমে মানুষ তাদের মস্তিষ্কে কম্পিউটার চিপ স্থাপন করে তাদের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ভবিষ্যতের পৃথিবীর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইলন মাস্ক। তার ধারণার অনুযায়ী, এই ‘নিউরালিঙ্ক’ প্রযুক্তির প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ তাদের মস্তিষ্কে কম্পিউটার চিপ বসায় এবং এটি তাদের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এটি একটি প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি যা ভবিষ্যতে মানুষের তাদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করতে পারে।
এই প্রযুক্তির গভীর প্রভাব এবং উদাহরণ প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে মানুষের জীবনে এক ধাপ উন্নতি আনা যেতে পারে। এটি প্রযুক্তিতে অগ্রগতি ও উন্নতির অধিকারী কোম্পানিগুলির জন্য একটি সুযোগ প্রদান করতে পারে, যাতে তারা মানুষের জীবনে প্রায়শই সরকারি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে উপযুক্ত সেবা ও পণ্য তৈরি করতে পারে।
মাস্ক মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ স্পেসেজ অডিও ইভেন্টে নিউরালিঙ্কের বিকাশ সম্পর্কে কথা বলেছেন। সেখানে ইলন মাস্ক বলেছেন, ইতিমধ্যেই পরীক্ষা মূলক ভাবে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এবং এর ফলে লক্ষ্যবহন পাওয়া যাচ্ছে, স্নায়বিক প্রভাব ছাড়াই রোগীরা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং শুধু চিন্তা করেই স্ক্রিনে মাউস, কার্সর পয়েন্ট নড়াচড়া করতে পারছেন। এছাড়াও, তারা বর্তমানে এই রোগীর সহায়তায় একাধিক বার মাউস ক্লিক করার চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিউরালিঙ্ক গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম মানবদেহে এই পরীক্ষা করার অনুমতি পায়। এবং সংস্থাটি গত মাসে প্রথম একজন মানুষের মস্তিষ্কে এই চিপ বসানোর কাজ সম্পূর্ণ করেছে। এই উন্নতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে এবং এটি এক প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সূচক। এই প্রযুক্তির ব্যবহার রোগীদের জন্য এক নতুন দিকে নিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা প্রক্রিয়াগুলি।
আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে, সাধারণ চিকিৎসার পদ্ধতিতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার একটি সম্ভাব্য পরিবর্তনের উপায় হতে পারে। মানুষের মস্তিষ্কে প্রযুক্তিগত উন্নতি যোগান এবং সাইবার ফিজিওলজির গভীর অধ্যয়নের মাধ্যমে, নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির পরিচয় ঘটে যা মানব স্বাস্থ্যে এক নতুন দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
নিউরালিঙ্ক দাবি করেছে যে, এই চিপটি সফল পরীক্ষার পর সেই সকল রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যাবে, যারা প্যারালাইসিস বা অন্যান্য অঙ্গ অক্ষমতায় ভুগছেন। এছাড়াও, অটিজম, ডিপ্রেশন এবং সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগের চিকিৎসায় এর ব্যবহার সম্ভব হতে পারে। তবে, এই চিপটির নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মহল থেকে অভিযোগ এসেছে। এখনো কিছু প্রশ্ন উঠছে যেমন এর নিরাপত্তা এবং ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে।
দীর্ঘদিন ধরে, সংস্থাটি এই চিপটির পরীক্ষায় বিভিন্ন প্রাণীর উপর অগ্রগতি লাভ করেছে। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সালে এই চিপটির পরীক্ষার সময় প্রায় ১,৫০০ টি নিরীহ প্রাণীর মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ইলন মাস্কের কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রাণীদের ক্ষতি করার অভিযোগও আনা হয়। তবে, এখন চিপ প্রতিস্থাপন করার বিষয়টিকে সংস্থাটি নিরাপদ বলে দাবি করছে।
সংস্থা বলেছে, তাদের নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চিপটি উন্নত হবে এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিতি দেওয়া হবে। এছাড়াও, সংস্থাটি চিপটির ব্যবহারের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত সতর্ক হচ্ছে। চিপটির সঠিক ব্যবহারের জন্য এই ধরনের নতুন প্রযুক্তির উন্নতি করা জরুরি এবং সংস্থাটি এটি বিপুল যেতে প্রস্তুত।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”3973″]
উপসংহার
ইলন মাস্কের নিউরালিঙ্ক প্রযুক্তির সাথে সংযোগ করে, মানুষের মস্তিষ্কের সাথে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। মাউসের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক উপায়ে, নিউরালিঙ্ক যে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে তা খুবই উল্লেখযোগ্য। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চিন্তা চেতনা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে এবং মানুষের জীবনের অনেক দিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
নিউরালিঙ্কের সাথে সংযোগ করা মানুষের মস্তিষ্কের সাথে একটি অনেক গভীরতর সম্পর্ক সৃষ্টি করতে পারে, যেটি নতুন চিকিৎসা, মানবকেন্দ্রিক কম্পিউটিং, এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই নতুন প্রযুক্তির সাথে সংযোগ করে মানুষের জীবনে একটি নতুন দিক নিয়ে যেতে পারে এবং মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিরক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।