Apple-এর iPhone ফোন আবারও বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে। সম্প্রতি একটি বিশ্ব শক্তিশালী দেশের সেনা ও সরকারি সংস্থা তাদের কর্মীদের মধ্যে iPhone ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করেছে। এই সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সিকিউরিটি সংক্রান্ত সমস্যা ও ডাটা সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট যে আইফোন ফোনগুলি নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এই ঘটনার পরে আইফোনের সামগ্রিক নিশ্চিতকরণ এবং ডাটা সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা। এই ধরনের সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জের জন্য Apple অবিশ্বাস্য মান অন্তর্ভুক্ত করছে এবং তাদের পণ্যগুলির সুরক্ষা উন্নত করার জন্য নতুন প্রযুক্তি উন্নত করছেন।
সমস্যা নির্মূল এবং ডাটা সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য এই প্রযাস একটি প্রমুখ প্রযাস হিসেবে গণ্য হয়েছে। এই ঘটনাটি প্রমুখ টেক প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রযুক্তি এবং সিকিউরিটির প্রাথমিকতা হিসেবে গণ্য হয়েছে এবং তাদের সম্প্রদায় সুরক্ষার উন্নত নির্মাণের দিকে মুখ তুলেছে।
আইফোন প্রযুক্তিতে অবদান রেখেও আইফোন উৎপাদনের সময় অ্যাপলের প্রতি অনেকবার নানা জটিলতা এবং আইনি সঙ্গতিগুলি মুখোমুখি হয়েছে। এখন সময় দক্ষিণ কোরিয়ার, যা Samsung এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার, কাছে নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কার কারণে আইফোন বন্ধ করার নিষিদ্ধাজ্ঞা প্রকাশ করেছে। এই নিষিদ্ধাজ্ঞা এপ্রিল 1 জুন থেকে প্রযুক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রে কার্যকর হবে, যা বিভিন্ন সমর্থন কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সময়ে দুঃসংবাদ ব্যতিত এই প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত চিন্তাজনক ঘটনা। একদিকে তাদের উত্কৃষ্ট প্রযুক্তি বিশ্বজয়ী হওয়ার অভিলাষ থাকলেও অন্যদিকে বিভিন্ন সমর্থন কর্মীর উপর প্রভাব পড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
সামরিক কর্মীদের উপর প্রভাব ফেলা নিষিদ্ধাজ্ঞা প্রকাশের পরিণাম হিসেবে আইফোন উৎপাদনের প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে অব্যাহত হতে পারে, যা প্রযুক্তি উৎপাদন ও বিপণনে অ্যাপলের জন্য একটি জটিল সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
চীন নয়, নিরাপত্তার ‘শত্রু’ হিসাবে Apple iPhone?
অ্যাপলের প্রাইভেসি কন্ট্রোলের নিয়ম অনুসারে আইফোনের ব্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এক প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই বিষয়টির পিছনে মিলিটারির ন্যাশনাল ডিফেন্স মোবাইল সিকিউরিটি (National Defense Mobile Security) অ্যাপ রয়েছে, যা অ্যাপলের গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণ নীতি অনুসরণ করে না। অ্যাপলের গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণ নীতি থার্ড পার্টি অ্যাপগুলির মাইক্রোফোন এবং ইউএসবি অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করতে বাধা দেয়।
সাথে সাথে, ন্যাশনাল ডিফেন্স মোবাইল সিকিউরিটি অ্যাপ অ্যাপল ডিভাইসে থেকে ডেটা ফাঁসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, টিথারিং এবং মাইক্রোফোনের সাথে সংযোগ বাধা দেওয়ার মাধ্যমে। এই অ্যাপটি ডেটা সিকিউরিটি বাড়াতে সাহায্য করে এবং সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর এই প্রতিবাদ অন্যান্য বিষয়ের সাথে মিলিটারি সিকিউরিটি ও ব্যানার পরিষ্কার বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ধাপ।
অ্যাপলের পলিসির কারণে কিছু অ্যাপ্লিকেশন আইফোনে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা বলে ধারণা হয়েছে। অ্যাপল এই অ্যাপ্লিকেশনগুলির হার্ডওয়্যার এক্সেস নিষিদ্ধ করেছে। তবে, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে এই সমস্যা দেখা যায় না। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করে এই মামলাটি নিষিদ্ধ করেছে।
আইফোনে অ্যাপ ইন্সটল করতে গিয়ে অ্যাপলের নিয়ন্ত্রণ মেকিং প্রক্রিয়া সহজ নয় হতে পারে। অ্যাপল তাদের ইকোসিস্টেমে অবৈধ অ্যাপ ব্লক করে থাকে, যা ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা সরবরাহ করে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করলে, অ্যাপ ইন্সটলেশনে আরও স্বাধীনতা অনুভব করতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী নেওয়া সিদ্ধান্ত আইফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করেছে, যা ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। তাদের প্রয়াসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন জোয়ারে থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান সংবাদ প্ল্যাটফর্ম ‘দ্য কোরিয়ান হেরাল্ড’ (The Korean Herald) এ প্রকাশিত একটি নথি অনুসারে জানা গেছে যে, জুন ১ তারিখ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ভবনগুলিতে আইফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। সেনাবাহিনীর কর্মীরা অবিলম্বে তাদের অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক স্মার্টফোন যেমন Samsung Galaxy ব্যবহার করতে সক্ষম থাকবেন, কারণ এই ডিভাইসগুলিতে সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট অ্যাপস প্রযোজ্য হবে।
দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় সেনা তাদের সামরিক সংস্থানগুলিতে এপ্লেকেশন ও ডিভাইসের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বৃদ্ধি করার জন্য কঠোর নিয়মাবলী প্রযোজ্য করে আসছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে সামরিক ভবনগুলিতে অন্যান্য স্মার্টফোনের ব্যবহারকে নিষেধাজ্ঞা করার সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
সাথে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হওয়ার পর সেনাবাহিনীর কর্মীদের কাজ সম্পর্কে সহজতর হবে এবং সেনাবাহিনীর সুরক্ষা প্রক্রিয়াগুলি অধিক প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়া, এই ধারাবাহিকতা সেনাবাহিনীর সামরিক ভবনগুলির সুরক্ষা স্তর বৃদ্ধি করার জন্য নিরাপত্তা প্রস্তুতির সাথে তাদের সহায়তা করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রায় 5 লাখ সদস্যের জন্য একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও সেটি বহুকালের জন্য সম্ভাব্যতা নির্ধারণ করতে পারে বলে কয়েকটি রিপোর্ট দাবি করেছে। সত্যিই, এত বড় একটি স্কেলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে অনেক সদস্য প্রাকৃতিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, এবং তাদের সম্পর্কিত কোনো ক্ষতি পূরণের চেষ্টা নেই।
বহুমূল্য আইফোন ডিভাইসের প্রতিস্থানে নতুন ফোন কেনা কোনো লাভজনক বিষয় নয়। এই সিদ্ধান্ত অনেকের জন্য প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং এটি নিশ্চিতভাবে অবগতি বাড়াতে পারে। তাই সেনা সদর দফতরে আছে প্রায় 10 হাজার কর্মী, যারা এই নতুন ব্যয় অবশ্যই অনুমোদন করতে পারবেন না।
সবশেষে, এই ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল দেশের সুরক্ষা ও অবিলম্বে কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে পারে এমন সম্ভাব্যতা নির্ধারণ করা। সম্ভাব্য বিপদে অবিলম্বে সম্ভ্রম সামগ্রিক সংকটে ফেলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হতে পারে এবং দেশের সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতার জন্য এটি প্রয়োজনীয় হিসেবে প্রমুখ হতে পারে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”5681″]
উপসংহার
আইফোনের নিষেধ বিধান প্রদান করা হলেও, Apple এবং তাদের উৎসাহী অনুসরণকারীদের মাঝে মাথাব্যথা এখনো বাড়ছে। বিশেষভাবে যে দেশে এই প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, সেই দেশে তাদের পণ্য নিষিদ্ধ করা হলে সেটি নিশ্চিতভাবে তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণ হবে।
নিষিদ্ধ সংস্থার স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিদিন প্রয়োগ পাচ্ছে আইফোন, তবে তাদের কার্যক্রম অপরিসর হওয়া দৃশ্য প্রকাশ করেছে। এই সংস্থা নিষিদ্ধ হওয়া নিশ্চিতভাবে গ্রাহকদের এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অস্বাভাবিক অবস্থা সৃষ্টি করেছে।