মারুতি সুজুকির সাথে জোট বেঁধে টয়োটা এখন বহুদিন ধরে বিভিন্ন প্রকারের গাড়ি তৈরি করছে। সাধারণত, এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রিব্যাজ পদ্ধতিতে গাড়ি লঞ্চ করা হয়, যার মাধ্যমে একই মডেল গাড়িটি প্রতিষ্ঠানের নামে নিয়ে আসা হয়। এবারে টয়োটা মোটর প্রথম মডেল হিসেবে মারুতির অতি জনপ্রিয় কম্প্যাক্ট এসইউভি Fronx-এর কপি মডেল আনতে চলেছে। এই মডেলটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রিয় হয়ে উঠার পরিকল্পনায় আছে। এটি প্রায়শই সহজ সংগ্রহ এবং ব্যবহারের সুবিধার্থে পছন্দসই হয়ে থাকে।
টয়োটা মোটর এই নতুন মডেলটির সাথে মারুতি সুজুকির উদ্যোগে আশা প্রকাশ করেছে যে, এই কপি মডেল বাজারে প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড ও উন্নত সেবা প্রদানের সাথে গ্রাহকদের মনোনিবেশ বাড়ানোর কাজে সাহায্য করবে। এই প্রযুক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাহায্যমূলক এবং আনন্দদায়ক গাড়ি অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্য রয়েছে। এটি আশা করা যায় যে, এই সম্প্রদায়িকৃত উন্নতি মারুতি সুজুকির ও টয়োটা মোটরের গ্রাহকদের জন্য একটি নতুন দিক খুঁজে দেবে।
Toyota পেশ করছে Urban Cruiser টাইসর।
টয়োটা কোম্পানি সম্প্রতি ভারতে Urban Cruiser Taisor নামের জন্য ট্রেডমার্ক দায়ের করেছে। এই নামেই নতুন মডেলটি আগামী 3 এপ্রিল, 2024 এদেশের বাজারে পা রাখবে। এতে ছোট গাড়ির দুনিয়াতে টয়োটার পদার্পণ ঘটবে, যা পূর্বে বাজারে দৃশ্যমান ছিল নয়। এই সেগমেন্টে বর্তমানে চলছে তীব্র প্রতিস্পর্ধা, যেখানে Tata Punch, Maruti Suzuki Fronx এবং Hyundai Exter এসে চালু আছে।
ভারতে আসন্ন Taisor গাড়িটি টয়োটা দ্বারা রিব্যাজ করা মারুতি সুজুকির চতুর্থতম মডেল হবে। আগে টয়োটা সংস্থাটি মারুতির Brezza-কে কপি করে Urban Cruiser SUV এনিয়েছিল। তবে পরে এর বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন টয়োটা মারুতির আরও দুটি মডেল পরিবর্তন করে বিক্রি করছে। Ertiga MPV মডেলটি Rumion নামে এবং Baleno -কে Glanza নামে বিক্রি করা হয়েছে।
টয়োটা এই নতুন মডেলের সাথে বাংলাদেশের বাজারেও প্রবেশ করতে চলেছে এবং উত্তোলন করতে চলেছে তাদের গঠনশীল ব্র্যান্ড প্রেসেন্স। এই নতুন অফার গুলি বাংলাদেশের গাড়ি উদ্যোগের চাপ বাড়াবে এবং স্থায়ী গ্রাহকদের উৎসাহ উত্তেজনা দিবে।
ইন্টেরিয়ারের দিক থেকে Fronx-এর সঙ্গে মিলিত হবে আসন্ন Taisor। মারুতির এসইউভি মডেলটিতে উল্লেখযোগ্য ফিচারের তালিকায় রয়েছে অনেকগুলি অত্যন্ত আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য। এরমধ্যে 9 ইঞ্চি ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, 360 ডিগ্রী ক্যামেরা, হেড আপ ডিসপ্লে এবং অন্যান্য দ্রুত গড়বধি ফিচার উল্লেখযোগ্য। টয়োটার আসন্ন গাড়িতে ওয়্যারলেস চার্জিং, অ্যান্ড্রয়েড অটো, অ্যাপেল কারপ্লে, লেদারে মোড়ানো স্টিয়ারিং টিয়ারিং হুইল এবং অন্যান্য বিপুল অত্যন্ত বাস্তবতা সৃষ্টিকারী অপশন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সুরক্ষা সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ফ্রঙ্ক্স-এ এই গাড়িতে 6টি এয়ারব্যাগ, ইবিডি সহ এবিএস, ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল, হিল হোল্ড কন্ট্রোল এবং রিয়ার পার্কিং সেন্সর প্রয়োজনীয় হিসাবে উপস্থিত আছে। টয়োটার আসন্ন মডেলে 1.0 লিটার বুস্টারজেট টার্বো পেট্রোল এবং 1.2 লিটার ন্যাচারালি অ্যাস্পিরেটেড পেট্রোল ইঞ্জিন দেওয়া হতে পারে, যা প্রতিফলিত হয়েছে যথাক্রমে 99 বিএইচপি ও 147 এনএম টর্ক এবং 88 বিএইচপি। এছাড়াও, হাইব্রিড পাওয়ারট্রেনের সুযোগ রয়েছে টয়োটা Taisor গাড়িতে।
এই গাড়িতে 5-স্পিড ম্যানুয়াল, 5-স্পিড এএমটি এবং 6-স্পিড টর্ক কনভার্টার অপশনের মধ্যে বেছে নিতে পারেন গ্রাহকরা। সর্বশেষতম, এই গাড়ি একটি ব্যাপক পরিবেশের মধ্যে অন্যান্য গাড়ির মতো অবিশ্বাস্য চলাচল এবং উপভোগ দিতে উদ্দীপ্ত হয়েছে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”4718″]
উপসংহার
টয়োটার টাইসর একটি উত্তম উদাহরণ যে দ্বারা মারুতির প্রতিযোগিতামূলক গাড়ির প্রতি তাদের গুরুত্ব প্রদর্শন করেছে। এই গাড়ি 3 এপ্রিল ভারতে লঞ্চ করা হবে, যা উদ্দীপ্ত এবং আধুনিক SUV গাড়ির প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে পরিপূর্ণ। টয়োটার টাইসর যে বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা দিচ্ছে, তা মারুতির উপার্জন এবং জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গাড়ির প্রদর্শন, সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য, এবং প্রাকৃতিক ও বৈশিষ্ট্যগুলি একত্রিত করে মারুতির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এক স্থানে গাড়ি উৎপাদনে টয়োটার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান সৃষ্টি করে।