কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্থা, এবং উদ্যোগীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়েছে যা সমস্যা সমাধানে একটি উচ্চ স্তরের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। এটি ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবস্থান করছে, যেগুলি স্বাভাবিক মানুষের কাজকর্মে এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
একইসাথে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডিপফেক (Deepfake) প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রবল বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, যা সমাজে একধিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। ডিপফেক ভিডিও বা ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রচার এবং কোনও বিপর্যয়ের জন্য সাক্ষরিক প্রমাণ তৈরি করা হতে পারে, যা করে দক্ষিণী অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানা একটি উদাহরণ। এ ধরনের সমস্যা সমাধানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞেরা নতুন প্রযুক্তিগুলি তৈরি করতে কাজ করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হওয়া ছবি।
ভারতের পরে, ডিপফেক ওয়ার্ম এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছেছে। জনপ্রিয় পপ গায়িকা টেইলর সুইফটের একটি ডিপফেক ছবি ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন উত্থান এবং বিতর্কের সূচনা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবির ভাইরাল হওয়ার পর, এটি মার্কিন নেতাদের মধ্যে একটি আকর্ষণ উত্পন্ন করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এই ডিপফেক ছবি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে এবং তার জন্য বিভিন্ন সাংসদ, শিক্ষাবিদ, এবং সামাজিক কর্মকর্তারা একসঙ্গে আসে এবং এই ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্রিয়াকলাপকে সমাপ্ত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেগ প্রকাশ করে। এটি সামাজিক মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এবং মার্কিন সমাজে ডিপফেক এবং তার উপর বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
টেইলর সুইফটের (Taylor Swift) এক্স, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং এটি একটি তর্কসহ আলোচনার কেন্দ্রে পৌঁছেছে। এই ছবিতে তিনি নিজেকে ‘ভীতিকর’ হিসেবে চিত্রিত করেছেন এবং এক মার্কিন আইনপ্রণেতা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করতে চলেছেন। এক্স একটি পোস্টে আবেগভাষিত হয়ে জানিয়েছেন যে, সেই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যারা ছবি শেয়ার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকেও এই ছবি সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
এই ঘটনা দ্বারা টেইলর সুইফট একটি মানবাধিকারের বিষয়ে আলোচনার কেন্দ্রে পৌঁছেছেন এবং তার প্রতি বৃদ্ধি প্রমাণ করতে তার সামাজিক মাধ্যম প্রদর্শন করা হয়েছে। এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে মন্নাতে এবং চিন্তা করতে সাহায্য করতে একটি বৃদ্ধি হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ডিপফেকের ঘটনা দ্রুত উন্নত হচ্ছে।
২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯ সাল থেকে ডিপফেকের ঘটনা ৫৫০ শতাংশ বেড়েছে, এটি একটি চিন্হিত বৃদ্ধি। এই তরুণ সমাজে এই অসভ্য প্রক্রিয়ার বৃদ্ধির কারণে, নারীদের সম্মান এবং সুরক্ষা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ চুনৌতি। বিশ্বভরে, ডিপফেক প্রতিরোধে একটি আইনবিদ সাংবিদানিক চিন্হ হওয়ার জন্য আবশ্যকতা মনে হচ্ছে, যাতে সামাজিক মানবিক অধিকার এবং ন্যায্য ন্যায্যতা সংরক্ষণ হোক।
ভারতে, এই চুনৌতির সামনে দাঁড়াতে একটি প্রতিবাদশী ধারাবাহিক চলছে, যেখানে সরকার এবং সংসদ এই সমস্যার সামনে দৃষ্টি নিতে উদ্যোগী হচ্ছে। ডিপফেক নিয়ে বিশেষ আইন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করার জন্য নতুন ধারাবাহিক তৈরি করতে পারে এবং এই প্রয়াসের মাধ্যমে নারীদের সুরক্ষা এবং সম্মান বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”3616″]
উপসংহার
এই বিশেষ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার সময়, আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা হচ্ছে – “ডিপফেক থেকে সাবধান, পপ গায়িকা টেইলর সুইফট এর আপত্তিজনক ফটো ভাইরাল।” এই বিভাজনটির আওতায়, আমরা সকলকে জানাচ্ছি যে একজন বৃহত্তর এবং প্রস্তুতিশীল সুপারস্টারের মুখের পিকচারের বৈধতা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের ডিপফেক সমস্যা সম্পর্কে জনগণের জনসচেতনা বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, এবং নারীদের সহিত সমাজে সুরক্ষা এবং সম্মান বাড়ানো হোক।
অনুবাদিত ছবির প্রযুক্তি এবং বৈধতা যাচাইকরণের পক্ষ থেকে জনগণের সচেতনতা ও সহানুভূতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, এই প্রযুক্তির সাথে জুড়ে থাকা এবং অবৈধ বা ভৌতিক তথ্য ছড়িয়ে যাওয়ার আগে, সত্যতা নিশ্চিত করতে পারবেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে উপযুক্ত সাবধানতা অনুসরণ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।