Suzuki Swift এসইউভি গাড়ির বিক্রি হারের বৃদ্ধি পেলেও সুজুকি তাদের হ্যাচব্যাক মডেল নিয়ে অবহেলা করতে নারাজ বোঝা যাচ্ছে। এই অবহেলার প্রতি প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন মডেলের নতুন সংস্করণ তৈরি করে তাদের অফারিং আপডেট করে আনছেন। এই প্রতিরূপ প্রযুক্তির সাথে থাকে ক্রেতাদের খুশি করে দেওয়ার চেষ্টা। গতকালের তারিখে জার্মানির বাজারে তাদের নতুন প্রজন্মের Swift হাজির হয়েছে। এই মডেল আগে জাপান এবং ব্রিটেনেও প্রদর্শন করেছিল। এবারের পর্যায়ে মূল্যবান এই গাড়ির লঞ্চের আশঙ্কা বাংলাদেশের বাজারেও উন্নতি পেতে পারে এবং এটি সময়ের সাথে এখানে উপলব্ধ হতে পারে।
সুজুকি নতুন প্রজন্মের Suzuki Swift প্রস্তুত করেছে এই বাজারে লঞ্চ করার জন্য। এই গাড়িতে শক্তিশালী ১.২ লিটার থ্রি সিলিন্ডার ন্যাচারালি অ্যাস্পিরেটেড পেট্রোল ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে, যা ৮৩ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন করবে। এছাড়া, এটি সংযুক্ত হাইব্রিড সিস্টেমের মাধ্যমে বেশি শক্তিশালী এবং দ্রুতগতিতে যাত্রা করতে সক্ষম হবে।
এই গাড়িতে ম্যানুয়াল বা সিভিটি অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের বিকল্প উপলব্ধ থাকবে। আর অল-গ্রিপ অল হুইল ড্রাইভ সিস্টেম প্রোভাইড করা হবে যাতে গাড়িটি সমস্ত অবস্থায় স্থিতিশীল থাকে।
নতুন প্রজন্মের সুইফ্ট, শার্প অথচ ক্লাসি ডিজাইন আপডেট পেয়েছে। এতে দেওয়া হয়েছে আগের চাইতে আরও বেশি স্লিক এলইডি হেডলাইট, যা গাড়ির প্রস্থের চেহারা আরও আকর্ষণীয় করেছে। এই নতুন সংস্করণে সংযুক্ত হয়েছে এলইডি ডিআরএল যার মাধ্যমে রোডে প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞা বেশি হয়েছে। আবার পেছনের বাম্পারের ডিজাইনে নতুনত্ব রয়েছে, এবং এর সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন নকশার ফগ ল্যাম্প, যা গাড়ির রঙিন আভা আরও চমক দেয়।
সাথে সাথে এই নতুন সুইফ্টে দেওয়া হয়েছে একটি ব্র্যান্ড নিউ ১৬ ইঞ্চি ডায়মন্ড কাট অ্যালয় হুইল, যা গাড়ির স্থায়িত্ব এবং স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই নতুন অ্যালয় হুইল গাড়ির এসেস্থেটিক এলেগ্যান্ট এবং মডার্ন করে তোলে। সুইফ্টের বনেট’টিও ব্র্যান্ড নিউ হয়েছে, যা গাড়ির স্টাইলিশ প্রেজেন্স বাড়ায়। এই সব নতুন ফিচার যুক্ত করেও সুইফ্ট আগের থেকে আরও আকর্ষণীয় হয়েছে, যা গাড়ির প্রতিষ্ঠানিকতা এবং প্রিয়তম গাড়ি হিসেবে একটি সশস্ত্র অবলম্বন তৈর
প্রথাগত ডোর হ্যান্ডেলের পরিবর্তে সুইফ্টের নতুন ভার্সন দেখা গেছে, যেখানে লেটেস্ট বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে একটি ৯-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম এবং নতুন স্লিক লুকিং রেক্ট্যাঙ্গুলার এসি ভেন্ট। এছাড়াও, বাংলাদেশের মার্কেটে এই গাড়ির ভার্সনে মিল্ড হাইব্রিড অফার করা হতে পারে না বলে অনুমান করা হচ্ছে, তবে ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক দুটি ট্রান্সমিশন অফার করা হবে।
নতুন ভার্সনের মডেলের পাওয়ার ও টর্ক কম মডেলের তুলনায় কম। বিদ্যমান মডেলের থেকে উৎপন্ন হয় ৮৯ বিএইচপি শক্তি এবং ১১৩ এনএম টর্ক। বর্তমানে গাড়িটি কিনতে খরচ পড়ে ৫.৯৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।
অনুমান করা হচ্ছে যে, নতুন মডেলটির বাজারে আসা পরে নানা আপডেটের কারণে দাম সামান্য বাড়ানো হতে পারে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”3800″]
উপসংহার
ঝড় তুলে ভারতে আসার আগে, জার্মানিতে হাজির মারুতি সুইফ্ট অবশ্যই বেশি মুগ্ধ করবে লুকস। এই গাড়ি নতুন ভার্সনের সুবিধাগুলি এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের সাথে আসতে পারে, যা জার্মান ব্যবহারকারীদের মনোনিবেশের ক্ষেত্রে নতুন আগ্রহ উত্পন্ন করতে পারে। এই মডেল যদিও ভারতের শহরের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত, তবে এর জার্মান বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে সুইফ্টের পপুল্যারিটি আরও বাড়তে পারে। তাই ঝড় তুলে জার্মানিতে হাজির মারুতি সুইফ্ট লুকসের অনুমানিত সফলতা একটি নতুন পর্যায়ে নিশ্চিত করে তোলতে পারে।