নানান পারিপার্শ্বিক সমস্যার কারণে মোস্তফা সুলেমান একেবারেই তার পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হতেন, যেখানে তার ক্ষমতা এবং স্বপ্ন অসীম ছিল। সামাজিক এবং মানসিক সমস্যার মধ্যে প্রচুর কমতি দেওয়া যায় নি, এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি মোস্তফা সুলেমানের পড়ালেখার পথে পরিবর্তনের সামনে ডাকা দেওয়ার মতো ছিল। এই অবস্থানে তিনি নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতা সংজ্ঞার ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন।
পরিবারের সমর্থন এবং সম্পূর্ণ নিবেদনের সাহায্যে মোস্তফা সুলেমান তার পড়ালেখার পথে প্রতিবাদ করে দিতে নিশ্চিত হয়েছেন। সাথে সাথে, তিনি নিজেকে সাক্ষাৎকারে এবং মানসিক স্বাস্থ্য পেশা প্রশিক্ষণে নির্ধারণ করে তার সমস্যা সমাধানের জন্য সামর্থ্যশীল পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ পেয়েছেন। এই উদ্যোগের ফলে মোস্তফা সুলেমান তার পড়ালেখার প্রতিষ্ঠান ফেরত ফিরে যাত্রা শুরু করেন, যেখানে তিনি তার স্বপ্ন এবং লক্ষ্য অর্জন করার জন্য নিরবতা বিনির্বাচন করেছেন।
মানুষের সাহস এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে অসীম সাধনা সম্ভব। এই বিশ্বাসের উজ্জ্বল উদাহরণ হলো মোস্তফা সুলেমান, যে তার প্রতিষ্ঠানগুলিতে কঠিন পরিশ্রম ও উচ্চ মেধার মাধ্যমে পরিচিত। এ বিখ্যাত যুবক বর্তমানে মাইক্রোসফটের সিইও হিসেবে চিরস্থায়ীভাবে উত্তরাধিকারী দায়িত্ব পালন করছেন। তার প্রয়াসের ফলে মাইক্রোসফটের এআই ডিভিশন অত্যন্ত উন্নত হয়েছে এবং তিনি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
মোস্তফা সুলেমানের জীবনের পথে প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন পরিকল্পনার সামনে প্রতিবার নতুন পরিকল্পনা দাঁড়াতে হয়েছিল। তার প্রয়াসের পেছনে তিনি বহুল পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে আসেন। তার নিত্যদিনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে তিনি সফলতার পথে অগ্রসর হন।
মোস্তফা সুলেমানের গতি বহুল পরিবর্তনের মধ্যে নিজেকে অবস্থান করেছে। তার সাহস এবং অদম্য প্রতিশ্রুতি একটি নতুন দায়িত্বে তাকিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তিনি স্বনির্ভরতা এবং সফলতা অর্জন করেছেন। তার অবিচলিত প্রতিশ্রুতি এবং কর্মঠতার মাধ্যমে তিনি প্রয়োজনীয় সমৃদ্ধি ও প্রগতি অর্জন করেছেন যা অনেকের জন্য এক নিখরচা উদাহরণ।
মোস্তফা সুলেমান কে?
১৯৮৪ সালের আগস্ট মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মোস্তফা। তিনি সিরিয়ার এক সাধারণ ট্যাক্সি চালকের পুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন, যে সময়ে তার মা একজন ব্রিটিশ নার্স ছিলেন। মোস্তফা তার শিক্ষাক্রম প্রাথমিক ভাবে ব্রিটেনে শুরু করেন, পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি অক্সফোর্ডে যান, তবে দ্বিতীয় বর্ষে তিনি তার পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে মুসলিম ইয়ুথ হেল্পলাইন চালু করেন।
মোস্তফার এই পরিবর্তন দেখে মনোযোগ দেওয়া যাচ্ছে তার আদর্শমূলক ব্যক্তিত্বের দিকে। তিনি তার পড়াশোনা অব্যাহত রেখে মানবিক কাজে নিজের সময় পরিশ্রম করেন। মুসলিম ইয়ুথ হেল্পলাইনের মাধ্যমে তিনি সমাজের বিভিন্ন দিকে সেবা প্রদানে নিজের ভূমিকা প্রদর্শন করেন, যা তাকে সামাজিক নেতৃত্ব ও সহায়কতা দিয়েছিল। এই প্রস্তুতিতে মোস্তফা একজন সুসংগঠিত এবং দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে উজ্জ্বল হয়ে উঠেন।
2010 সালে মোস্তফা সুলেমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন। তখন বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ এই বিষয়ে জানতেন না, তবে সুলেমান ছিলেন দূরদর্শী এবং একটি এআই স্টার্টআপ ডিপমাইন্ড চালিয়েছিলেন এক বন্ধুর সঙ্গে। এই স্টার্টআপটি শুরু হওয়ার পরে গুগল এটি কিনে নেয় এবং সুলেমান গুগলে এআই প্রজেক্টে কাজ শুরু করেন। 2022 সালে, তিনি গুগলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে মাইক্রোসফটে যোগদান করেন এবং সেখানে এআই-এর সিইও হিসেবে নিযুক্ত হন।
বর্তমানে, যখন AI এর চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন মাইক্রোসফট মোস্তফাকে বড় দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি এখন সরাসরি মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলাকে রিপোর্ট করবেন। মাইক্রোসফট দীর্ঘদিন ধরেই AI-তে প্রচুর বিনিয়োগ করে চলেছে এবং বর্তমানে মাইক্রোসফট ওপেন এআই-তেও বিনিয়োগ শুরু করেছে। এই সব কাজের উদ্দেশ্যে মোস্তফা সুলেমান এখন একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তিনি এই প্রযুক্তিতে মাইক্রোসফটের ভবিষ্যতের নির্দেশক ভূমিকা পালন করছেন।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”4752″]
উপসংহার
মাইক্রোসফটের সিইও হিসেবে বসালো হিসেবে, সুলেমান যেকোনো সময়েই তার সাহায্যের সুযোগ দেয়। এই পদে আসার আগে, সুলেমান বাবার ট্যাক্সিচালক হতে বিদ্যা প্রাপ্ত করেছিলেন এবং অর্থের অভাবে নিজেও পড়াশোনা ছেড়েছিলেন। এই অভিজ্ঞতা তাকে দৃঢ় এবং সক্রিয় করে তুলে আনে, যা মাইক্রোসফটে তার নেতৃত্ব এবং নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অপার সুযোগ প্রদান করে। তার প্রথমবারের জীবনে অভিজ্ঞতা এবং প্রতিভার প্রতিরোধশীলতা সহজলভ্য হয়ে উঠেছে, যা মাইক্রোসফটের উন্নতির উদাহরণ হিসাবে গণ্য হতে পারে।