মৃত্যুর দশক পরেও জনপ্রিয় Steve Jobs, 41 বছর আগে সই করা ‘মামুলি’ কার্ড বিকোলো কোটি টাকায়!

দশটি বছরের ওপরে যাওয়া অবধিতেই, দুনিয়া কাঁপানো অ্যাপল কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের প্রয়াণ ঘটে। তবে, এখনও তাঁর জনপ্রিয়তা এবং অনুসারীদের সংখ্যা কখনোই কমেনি। এখনও অ্যাপলের নামের সাথে স্টিভ জবসের নাম জড়িত এবং তাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট জিনিসগুলি মানুষের উদার আকর্ষণ তৈরি করে, যার ফলে তারা তা বিপুল মূল্যে কিনতে উত্সাহিত হন।

সাম্প্রতিকভাবে, একটি দর্শনীয় ঘটনার তথ্য জানায় যে, ২৪ মার্চে, স্টিভ জবসের স্বাক্ষরিত একটি ব্যবসায়িক কার্ড আরআর অকশনস নিলামে ১,৮১,১৮৩ ডলারে (১,৫১,১৫,৭০৮ টাকা) বিক্রি হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এই কার্ডটি ১৯৮৩ সালের এবং তার মূল্য হল প্রায় ৪১ বছর পূর্বের। এই স্বাক্ষরিত কার্ডের জন্য মানুষের আকর্ষণ প্রবল এবং এটি অন্যান্য স্বাক্ষরবিহীন কার্ডগুলির তুলনায় ১৪ গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

এই অবাধ্য মূল্যের পেছনে স্টিভ জবসের কার্যকালের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিগুলির জন্য মানুষের অভিনন্দন ও আকর্ষণের প্রকাশ। তার যত্নে স্বাক্ষরিত আইটেমগুলির মূল্য দ্বিগুণ থাকে এবং এটির স্বাক্ষরিত কার্ডের ক্ষেত্রে এটি অবাধ্য চিন্তাভাবনা।

স্টিভ জবসের সহযোগী কার্ডটি সেরা রেটিং অর্জন করেছে।

স্টিভ জোবসের এই অপূর্ব ব্যবসায়িক কার্ড, যা তার বিশিষ্টতা ও নৈতিকতা প্রকাশ করে, এখন একটি অজ্ঞাত পর্যায়ে উন্মেষে আছে। এটির এক দিকে এতদিন পর পর এতগুলি ধারনা এবং সত্ত্বেও এটি এখনও একটি অত্যন্ত মূল্যবান অবজেক্ট হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে। প্রাচীনতম দিন থেকে এই কার্ডের নিকটে নির্মিত কিছু চিহ্ন এখনও বেঁচে আছে, যা এটির গুরুত্ব এবং মান বাড়াতে সাহায্য করে।

কার্ডের অবস্থা এখনও প্রশংসনীয়, যা এটির মূল্য আরো বাড়াতে সাহায্য করে। ৪১ বছর পূর্ণ হওয়া অনুযায়ী, এটি একটি স্বীকৃত ধারাবাহিকতা এবং মৌলিক মূল্য বজায় রেখেছে, যা একাধিক উচ্চ দামে নিলাম হয়েছে। মূলত, কার্ডটির সত্যতা ও অথেন্টিসিটি যাচাই করার পর, তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এটি PSA/DNA সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত পাঁচটি কার্ডের মধ্যে একটি।

প্রফেশনাল স্পোর্টস মেমোরাবিলিয়া অথেন্টিকেশন এজেন্সি বা PSA এ এই কার্ডটি প্রায়ই ‘জেম মিন্ট লেভেল 10’ (GEM MINT LEVEL 10) রেট করে। এই রেটিং এর মাধ্যমে এর মূল্য এবং গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং তার সাথে সাথে এটির সংগ্রহকারীদের জন্য একটি প্রিয় আইটেম হিসেবে উঠছে।

অ্যাপলের বিজনেস কার্ডটি প্রধানত স্টিভ জোবসের সময়ের মনে হয়, যখন তিনি অ্যাপলের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং অ্যাপল লিসা (Apple Lisa) ছিল সেই সময়ের প্রধান প্রোডাক্ট, যা বিশ্বের প্রথম বিজনেস পার্সোনাল কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত। এই কম্পিউটারটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস উপলব্ধ করে এবং ম্যাকিনটোশ (Macintosh)-এর তুলনায় অনেক উন্নত ছিল, তবে এর কম্পিউটিং পাওয়া খুবই ব্যবহারযোগ্য ছিল না।

লিসার সাথে ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রাকৃতিক সংলগ্নতা সৃষ্টির একটি প্রকার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ছিল, কিন্তু এটি বাজারে উচ্চ মূল্যে উন্নতি লাভ করতে পারেননি। তার পরিবর্তে, স্টিভ জোবসের পরিচালনায় পরবর্তীতে ম্যাকিনটোশের উন্নত বস্তুনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা ও ব্যবহারিকতা প্রধান কারণ হিসেবে জানা গেল।

কয়েকদিন আগে, জোবসের স্বাক্ষরিত চেকও নিলাম হয়েছে।

21 মার্চের গতকাল, স্টিভ জবসের সাথে সম্পর্কিত একটি অল্প আগের অক্ষম্যতা স্থানান্তরের জন্য একটি চেক আটকে রয়েছে, যেখানে তাঁর স্বাক্ষর প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭৬ সালের ৮ জুলাই, স্টিভ জবস এই চেকের স্বাক্ষর করেছিলেন। এই চেকটি অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানির নামে আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং এর মূল্য সেট করা হয়েছিল ১৬ হাজার ডলার। এই অনুমানের মধ্যে স্টিভ জবস অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানির প্রথম অফিসিয়াল ঠিকানা, ৭৭০ ওয়েল্চ রোড, স্টেপ ১৫৪, পালো আল্টো, লিখেছিলেন।

এই চেকের পেছনে গুপ্তিমাধ্যমের একটি পরিষ্কারকটি ছিল, যা স্টিভ জবসের প্রথম সহযোগীদের মধ্যে এক ছবিতে হাতির স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। এই চেকের আগের পাশে একটি স্ট্যাম্প রয়েছিল, যা প্রমাণ করেছিল যে চেকটি প্রসারিত করা হয়েছিল। এই চেকের স্বাক্ষর আরো বিশ্বস্ত ও ভালো অবস্থায় ছিল, কারণ এটি বিপণন করা হয়েছিল এবং অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানির মূল ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছিল।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য

[sp_easyaccordion id=”4879″]

উপসংহার

মৃত্যুর দশক পরেও, স্টিভ জবসের জনপ্রিয়তা অবিস্মরণীয়। তার একাধিক অসাধারণ সাহসিকতা, উদ্ভাবনী মনেবিদ্যা, এবং অবদান প্রত্যাশিত সরকারী পরিকল্পনার সাথে একত্রিত হয়ে তার প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের জনপ্রিয়তা অবদান করেছিল। সাধারণ ‘মামুলি’ একটি চেক তার মূল কাজের শুরুতে অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানির পূর্ব সফলতার স্বীকৃতি করে এবং এর মূল্য অনুমান অতিক্রম করে। এই ঘটনা স্টিভ জবসের মুখে আরও একটি বিশেষ উদাহরণ হিসেবে উঠে, তার অস্বীকার এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্য একে অবদান রাখে এবং তার সামর্থ্যের উজ্জ্বল উদাহরণ দেয়।

Leave a Comment