নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, Apple-এর ৭টি প্রধান আইফোন মডেলের মধ্যে একটি এখন ভারতে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল দেখাচ্ছে। এটি নিয়ে আরও তথ্য পেতে নিচে পড়ুন।
সময়ের সাথে ভারত স্মার্টফোন উৎপাদনে একটি প্রধান বিষয়টি হিসেবে উল্লেখযোগ্য হয়েছে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমান মানের উৎপাদন সৃষ্টি করে। এ কারণে, ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান Apple এখন ভারতের স্মার্টফোন বাজারে নিজের পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রয়াসে সফলতা অর্জন করে তিনি নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং হাব উপস্থাপন করেন এবং এখন অনেক নতুন এবং পুরাতন আইফোন মডেলের উৎপাদন শুরু করেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে Apple সবজান্তা সাফল্য অর্জন করেছে, যা সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়েছে।
নতুন রিপোর্টের অনুযায়ী, সংস্থাটি চলতি 2024 সালে ভারত থেকে প্রায় ১৪ শতাংশ আইফোন সংগ্রহ করেছে। এখন প্রতি সাতটি আইফোন ইউনিটের মধ্যে একটি এদেশে তৈরি হচ্ছে। তবে, অ্যাপল এখনও ভারতে আইফোনের সমস্ত উপাদান তৈরি করছেনা, বরঞ্চ অ্যাসেম্বল করছে। এই নতুন সংকলন নিয়ে ভারতীয় বাজারে অভিনব সুযোগ ও সামর্থ্যের একটি নতুন দিক উত্থান হতে পারে।
সাথাপথ্যে, অ্যাপল এই প্রক্রিয়ায় ভারতে উদ্যোগী প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের উত্পাদন ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে। এই উত্তরণ ভারতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি প্রবণ দেশে আরও প্রযুক্তিগত স্বাধীনতা ও উন্নতির সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে নতুন উজ্জীবন উঠিতে পারে।
ভারতে 2024 অর্থবর্ষে 14 বিলিয়ন ডলারের iPhone এসেম্বলি করা হয়েছে।
আইফোনের উৎপাদনে চীনের প্রভাব কমাতে গত কয়েক বছরে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে অ্যাপল। এখন তারা ভারত ও ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করছেন, যা তাদের প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশ্চিততা বৃদ্ধি করছে। সম্প্রতি ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ২০২৪ আর্থিক বছরে ভারতে অ্যাসেম্বল হওয়া আইফোন ইউনিটগুলির মোট মূল্য ১৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। এই সূত্রে তাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ নেই। এই উন্নতির পেছনে অ্যাপলের ম্যানুফ্যাকচারিং পার্টনার ফক্সকনের বৃদ্ধি ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আসলে, প্রোডাকশনের প্রায় ৬৭ শতাংশ উল্লিখিত সাপ্লাই চেইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। এখানে পেগাট্রন কোম্পানিটি প্রায় ১৭ শতাংশ উৎপাদন করে। এছাড়া, গত বছরে কর্ণাটকে উইস্ট্রনের কারখানা কেনার পর শতকরার বাকিটা নিয়ে কাজ করছে টাটা। এই উন্নতির পেছনে বেশি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ভারত (ও তার পাশাপাশি ভিয়েতনামও) সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অ্যাপল ডিভাইস উৎপাদন করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। টাটা গ্রুপ, পেগাট্রনের সাথে আলোচনা করে তাদের চেন্নাইয়ের একমাত্র প্ল্যান্টটি অধিগ্রহণ করে আইফোন বানাতে পারে।
চীন থেকে পরিবর্তনের ধারণা অন্যান্য অবস্থানে নির্ভর করা আরো সঠিক। অবশ্য, এই প্রস্তুতি একটি সৃজনশীল উত্তর যা অ্যাপল বা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলির চীন উৎপাদনে দায়িত্ব প্রদান করতে পারে। এটা আরও সম্ভব করে যে চীনে প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে বাণিজ্যিক সংযোগের মাধ্যমে নেতৃত্ব অনুভব করা হবে। তবে, অ্যাপলের ভারত ও ভিয়েতনামে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রকৃত সংস্করণ দেখাচ্ছে যে, প্রতিস্থাপনের দিকে তাদের মনোনিবেশ দিকে তাদের মনোনিবেশের বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারত এই ভরসার জায়গা কীভাবে গঠিত হয়েছিল?
চীনে অ্যাপলের উৎপাদনে অসুবিধা সম্মুখীন হওয়ায় তাদের সাপ্লাই চেইনে বিভিন্ন সমস্যা উত্থান হয়েছিল। এ সমস্যার ফলে অনেক উপকরণের উৎপাদনে বিঘ্ন উত্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। তাই এই পরিস্থিতির পূর্বাভাস করে প্রতিষ্ঠানটি নিজের সরঞ্জাম উৎপাদনে পর্যাপ্ত মনিবদ্ধতা ও সংক্ষেপে সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনায় আরও জরিপ দেয়ার দিকে তাকিয়েছে। অতএব, ভারতে পিএলআই (PLI) বা প্রোডাক্ট লিঙ্কড ইনসেন্টিভ স্কিম ও সস্তা শ্রমের উপলভ্যতা সৃষ্টি করে অ্যাপল এবং অন্যান্য প্রধান প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ভারতে তাদের উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়াও, আইফোন উৎপাদনে অ্যাপলকে টাটা গ্রুপের মতো বড় কোম্পানিগুলির সহায়তা পেলে ব্যবস্থাপনায় আরও বিশেষ উত্সাহ উৎপন্ন হয়েছে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”5269″]
উপসংহার
এই প্রশ্নে অংশ হিসেবে সাপেক্ষে দেখা যায় যে, ভারতে অ্যাপল এবং অন্যান্য প্রধান প্রযুক্তি সংস্থাগুলির উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি মানুষ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এ কারণে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক সাপ্লাই চেইন উন্নতির প্রয়োজন অনুভব করা যায়েছে। এতে সহায়তা করার জন্যে ভারত সরকারের PLI স্কিম এবং অন্যান্য প্রোডাক্ট লিঙ্কড ইনসেন্টিভ প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য।
তবে, সম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের পথে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ ওঠা মোদী সরকারের সামর্থ্যকে পরীক্ষা করতে হবে। অপরাধের বিজ্ঞানে উদাহরণস্বরূপ, ডিজিটাল সম্পদ ও গোপনীয়তার সংরক্ষণে এখনো অনেক অনিয়ম ও সিদ্ধান্তের প্রয়োজন অনুমান করা যায়। সহজলভ্য ওয়াইফাই সংযোগের বৃদ্ধি এবং বাস্তব পূর্বানুমান ভিত্তিক কর্মসূচিগুলি যেমন ডিজিটাল ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার উন্নতি, অতিরিক্ত মেয়াদী প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা সামগ্রীগত বিনিময়ের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলির প্রতিধ্বতি করতে পারে। এমনকি, প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে নীতিমূলক নিরাপত্তা এবং শিক্ষা কার্যক্রমগুলির মাধ্যমে নাগরিকদের ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানো উচিত।