স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশি সংখ্যক মানুষ এখন আর বিপদ বা অস্বস্তির অভিজ্ঞতার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমাণ ছাড়ছেন না। সাইবার সুরক্ষার জন্য সরকারের মুখে আগে হলেও, মাত্র কয়েক দিন আগেই ভারত সরকারের সাইবার টিম গুগল ক্রোম ব্রাউজারের মধ্যে ত্রুটির সম্মুখীন করেছিল। এই ঘটনার পর সম্প্রতি আবারও বড় ঝুঁকি প্রকাশের মাধ্যমে গুগল ক্রোম এবং এপল iTunes ব্যবহারকারীদের সাথে জরিত ব্যক্তিগত তথ্যের সংরক্ষণের প্রতিষেধ করেছে। এ সময়ে গুগল ক্রোম এবং এপল iTunes ব্যবহারকারীদের জন্য তথ্যের সংরক্ষণের জন্য বেশি সতর্ক থাকা জরুরি।
সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের সতর্কতা না থাকলে ব্যক্তিগত তথ্যের অপ্রত্যাশিত অবৈধ অ্যাক্সেসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
এই অশোভনীয় ঘটনা বিবেচনা করে ব্যক্তিগত তথ্যের সংরক্ষণের সুরক্ষা প্রতিষেধ করা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত তথ্য অপ্রত্যাশিত হ্যাকিং অপ্রত্যাশিত অ্যাক্সেসের মুখে বিপদের পথে যেতে পারে, এবং সেই সম্ভাবনা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সঠিক সাইবার নিরাপত্তা পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
Chrome এবং iTunes ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা কেন্দ্র।
ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স তথা তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ দ্য ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (CERT-In), অ্যাপল আইটিউনস এবং গুগল ক্রোমের ডেক্সটপ ভার্সনের সম্ভাব্য ত্রুটি সম্পর্কে ইউজারদের সতর্ক করেছে। তাদের মতে, পরিষেবার এই ফাঁকগুলি হ্যাকারদের ইচ্ছেমতো কোনো টার্গেটেড্ সিস্টেমে কোড এক্সিকিউট করার রাস্তা করে দেয় – তাও আবার দূর থেকেই। মূলত উইন্ডোজ (Windows)-এর ১২.১৩.২ ভার্সনের পূর্ববর্তী অ্যাপল আইটিউনস ভার্সনে এমন সমস্যা দেখা গেছে। অন্যদিকে ক্রোমের ক্ষেত্রে উইন্ডোজ-ম্যাক (Mac)-এর ১২৪.০.৬৩৬৭.২০১/.২০২ ভার্সনের আগের সফ্টওয়্যার এবং লিনাক্সে ১২৪.০.৬৩৬৭.২০১-এর আগের সংস্করণ নিয়ে যতো গোলমাল!
সফটওয়্যার উন্নতি এবং নতুন আপডেটের সাথে সাথে সেগুলির নিরাপত্তা এবং সম্ভাব্য ত্রুটিগুলির জন্য ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের সতর্কতা আমাদের সাইবার সুরক্ষা উন্নতির দিকে একটি সহায়ক ধাপ। ব্যক্তিগত তথ্যের সংরক্ষণ এবং প্রতিবেদন করা প্রথমেই ব্যবহারকারীর দায়িত্ব।
সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এখন, যখন অনলাইনে প্রতিষ্ঠানের তথ্য এবং ব্যক্তিগত তথ্য অসুরক্ষিত থাকতে সুযোগ পেতে পারে। তাই সকল ব্যবহারকারীকে তাদের পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
সুরক্ষা নামে প্রকাশ্যে যে অ্যাপল প্রোডাক্টের এক ত্রুটি উদ্ভূত হয়েছে, তার নাম ‘রিমোট কোড এক্সিকিউশন’। এই ত্রুটি মূলত কোরমিডিয়া কম্পোনেন্টের সমস্যার ফলে উদ্ভূত হয়েছে। এই ত্রুটির কারণে ব্যবহারকারীদের অপব্যবহারের ঝুঁকি থাকতে পারে।
অপরদিকে, গুগল ক্রোমের ভিজ্যুয়াল এবং অ্যাঙ্গেল কম্পোনেন্টের পাশাপাশি ওয়েব অডিওর ত্রুটি রিপোর্ট হয়েছে। এই ধরনের ত্রুটির সাথে হ্যাকার হামলা সম্ভাবনায় ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ ঝুঁকি রয়েছে।
সেক্ষেত্রে, ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি প্রতি সময় নতুন সিকিউরিটি আপডেট উন্মুক্ত করতে চাইছেন। এই আপডেটগুলি ব্যবহারকারীদের অপব্যবহার থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“২৮,২০০টি ফোন বন্ধের নির্দেশ, ২০ লক্ষ মোবাইলে ভেরিফিকেশন করা হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অতিসম্প্রতি টেলিকমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট (DoT) দ্বারা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রণীতি হয়েছে, যেখানে টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের একের পর এক নতুন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশের অনুযায়ী অনেকগুলি টেলিকম সংস্থা এখন আদেশ অনুযায়ী ২৮,২০০ সংখ্যক মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্লক করতে প্রস্তুত এবং ২০ লক্ষ মোবাইল কানেকশন নতুন করে ভেরিফিকেশন করতে হবে।
এই পদক্ষেপটি গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হল সাইবার অপরাধ এবং আর্থিক জালিয়াতিতে টেলিকম সংস্থানগুলির অপব্যবহার রুখতে। এই অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ এই প্রস্তাবিত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এই নতুন নির্দেশগুলির মাধ্যমে টেলিকম সংস্থাগুলি নিজেদের সিস্টেমে নিশ্চিতভাবে স্বচালন রক্ষা করতে এবং নিজেদের গ্রাহকদের প্রতি নিরাপদ সেবা প্রদানের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত হয়েছে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”6071″]
উপসংহার
এই কঠিন সময়ে, যেখানে সাইবার নিরাপত্তা মুখে প্রধান সমস্যা, মোদী সরকারের এই সাবধানতা জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রকাশ্যে আইটিউনস এবং ক্রোমের ব্যবহারকারীদের জন্য প্রেরণী একটি সতর্কতা সৃষ্টি করেছে। সাইবার অপরাধীরা এই প্লাটফর্মে আক্রমণ করতে চায় এবং এই সাবধানতা মাধ্যমে তাদের হাতে প্রবলতর হাতির সাথে দাঁড়ানো হতে পারে।
এই ধারণার নিশ্চিততা নিশ্চিত করতে, সরকারের অবাধ সহায়তা আমাদের সবাইকে প্রয়োজন। সাইবার নিরাপত্তা মেয়াদকালীন সমস্যা নয়, এবং এটির সামগ্রিক সমাধানের জন্য সরকার এবং ব্যবহারকারীদের একত্রিত প্রয়াস প্রয়োজন। এই সাবধানতা মূলত একটি সূচক হিসেবে কাজ করে এবং প্রয়োজনীয় কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হতে পারে।