জাপানি লেখিকা রি কুদান জাপানের অন্যতম উদার সাহিত্যিক পুরস্কার “দ্য টোকিও টাওয়ার অফ সিম্প্যাথি” এর জন্য অধিক মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্যিক পুরস্কার জিতেছেন।
আজ ChatGPT বিশ্বজুড়ে এক জনপ্রিয় এআই প্রযুক্তি হিসেবে উল্লেখযোগ্য হয়েছে। বিভিন্ন দেশে ব্যাপক হারে, এই স্মার্ট ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলটি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এর ব্যবহারের ধারণা অনেক বড়ভাবে প্রসারিত হচ্ছে। কোনো কঠিন বিষয়ের ধারণা নেয়া থেকে লেখার সাহায্য পাওয়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত উপায়ে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিশাল ডেটাসেট এবং অদ্ভুত ক্রিয়াশীলতা সাহায্যে, একজন ব্যবহারকারী যে কোন বিষয়ে তার জিজ্ঞাসা করতে এবং তার উত্তরে সাহায্য পেতে পারে।
আমরা দেখছি যে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সহায়ক হচ্ছে, এক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে একজন লেখক তার পুরো উপন্যাস লেখার জন্য ব্যবহার করেছে এবং সে এর ফলে প্রয়াত একটি পুরস্কার অর্জন করেছে। এটি একটি নতুন এবং উদার ব্যবহারের দিকে পুরস্কৃত হওয়া একটি স্থায়ী উদাহরণ, যা দেখায় যে এই প্রযুক্তি নিজেকে আপনার আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সমাজে ব্যবহার করতে একটি দ্বিধা হিসেবে বাঁচাতে পারে।
জাপানে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে, যেখানে জাপানি লেখিকা রি কুদান তার উপন্যাস “দ্য টোকিও টাওয়ার অফ সিম্প্যাথি” দিয়ে জাপানের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্যিক পুরস্কার জিতেছেন। তার উপন্যাসে তিনি সাহিত্যিক দক্ষতা, বিচারশীলতা, এবং গভীর মানবতা বিষয়ক অভিজ্ঞতা সহ বিভিন্ন মানদণ্ডে প্রশংসা পেয়েছেন। যদিও তিনি তার গ্রহণযোগ্যতা বক্তৃতায় স্বীকার করেছেন যে এআই (চ্যাটজিপিটি) উপন্যাসটি লেখার ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা পালন করেছে, তবুও তার কথার মাধ্যমে প্রধানত কিছু মাধ্যমিক চরিত্রের মাধ্যমে জীবনের নানা দিক ও পারিপ্রেক্ষ্যে জড়িত হয়েছে।
এই পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে রি কুদান জাপানের সাহিত্যিক পরিবারে অনেক জনপ্রিয় হয়েছেন এবং তার সাহিত্যিক যাত্রা সম্পূর্ণ প্রশংসিত হয়েছে। এই উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি সামাজিক ও মানবাধিকারের প্রস্তুতির জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, যা সহজেই একটি ভিন্নমূল্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে।
সিএনএন রিপোর্ট করেছে, ৩৩ বছর বয়সী লেখক কুদান তার উপন্যাসের জন্য আকুতাগাওয়া পুরস্কার অর্জন করেছেন। এই পুরস্কারটি তার উপন্যাসের সাহিত্যিক মান এবং জীবনের উদাহরণগুলির জন্য প্রদান করা হয়েছে। কুদান নিজেও এই উপন্যাসের মধ্যে এক জীবনের ঘটনাবলি ছবি তৈরি করেছেন, যা পড়কারকে আত্মীয়তা এবং মানবিক অবস্থানের দিকে আকর্ষিত করতে সাহায্য করে।
লেখকের কথায়, বইটির থিমটি এআই (Artificial Intelligence) থেকে নেওয়া হয়েছে এবং তার লেখা অনুভূতির একটি নতুন আয়াম সৃষ্টি করেছে। চ্যাটজিপ প্ল্যাটফর্ম এবং তার সাহায্যে এই উপন্যাসের কথা বলা হয়েছে, এবং সেই ভাবে পাঠকদের সাথে একটি আকর্ষণকর সম্বাদ তৈরি হয়েছে। এই উপন্যাসের মাধ্যমে কুদান তার আলোচনায় সামাজিক ও প্রযুক্তিগত উন্নতির উদাহরণ প্রদান করে, এবং এটি একটি নতুন মানবিক মানবতা সমর্থনের সাথে জড়িত হয়ে উঠেছে।
লেখক এবং পুরস্কার কমিটির সদস্য কেইচিরো হিরানো, একজন এক্স-এ সাহিত্যিক, সামাজিক যোগাযোগ এবং এআই প্রযুক্তির বৃদ্ধির মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জন করেছেন। তিনি একটি পোস্টে প্রকাশ করেছেন যে, তার এআই ব্যবহারে কোনো সমস্যা তার অভিজ্ঞতা ছিল না এবং তিনি তার লেখার মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রমোট করতে ইচ্ছুক। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, এআই তার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এটি তার সৃজনশীল লেখার প্রক্রিয়াকে সহায় করেছে এবং সময় সময় তার উপন্যাসের প্রভাবও চিন্তা করতে সাহায্য করেছে।
তবে, তার ভবিষ্যতের সম্পর্কে তিনি কিছুটা শঙ্কাগ্রস্ত। হিরানো মন্তব্য করেছেন যে, এই তথ্য এবং প্রযুক্তির অগোচর দিক বৃদ্ধি করতে পারে এবং এটি সাহিত্যিক ক্রিয়াকলাপের সাথে কিছুটা ভিন্নতা তৈরি করতে পারে। তিনি বিচার করতে বলেছেন যে, সৃজনশীল মনোভাব এবং এআই ব্যবহারের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখা মৌলযো হতে পারে, যাতে সমৃদ্ধি এবং সাহিত্যিক সফলতা সম্ভব হতে পারে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”3593″]
উপসংহার
চ্যাটজিপিটি দিয়ে উপন্যাস লেখা একটি নতুন এবং উত্কৃষ্ট অভিজ্ঞান। এই এআই বোট সম্প্রদায়ের লেখকদের জন্য একটি কৃত্রিম সাথীর মতো কাজ করে, যেটি লেখকদের লেখার প্রক্রিয়াকে সুগম এবং উপযুক্ত করে। এটি ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে, যেমন শিক্ষার সাথে সহযোগিতা, তথ্য সংগ্রহ, ভাষা অনুবাদ ইত্যাদি।
লেখক এই সহায়ক প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন ইডিয়া প্রাপ্ত করেছেন এবং এটি তার লেখার মৌল্যমূলক দিকে একটি নতুন দিকে নিয়ে গিয়েছে। তিনি চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে পাওয়া যে সাহায্য, তা তার সৃষ্টি করা উপন্যাসের মৌল্যমূলক মতামত এবং কথাবার্তার উন্নতির সাথে একসাথে রয়েছে।
লেখক দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতেছেন এবং চ্যাটজিপিটি একটি পূর্ণরূপে নতুন সাহিত্যিক যোগাযোগের দিকে নজির দেওয়া হয়েছে। এই নতুন দক্ষতা তার লেখার মাধ্যমে নতুন চৌধুরী এবং সৃজনশীল ক্ষমতা উন্নত করেছে, তার সাহিত্যিক পথে একটি নতুন চরণে।