প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে অনলাইন জালিয়াতির প্রায় অবৈধভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানের অভাবে সাইবার অপরাধীরা অন্যত্র আবিষ্কার করে তাদের অবৈধ কাজের নকশা। সাইবার ক্রাইম এবং অনলাইন স্ক্যামিং সম্পর্কিত অনেক ঘটনার খবর বারবার মাধ্যমে চলে আসছে। চাকরি অপ্রাপ্তি বা লটারি প্রলোভনে মানুষের উদাসীনতা অথবা ভুল ধারণা সাইবার অপরাধীদের পক্ষ থেকে প্রতারণা কারিগর।
সাইবার অপরাধীরা আত্মবিশ্বাসের অভাবে গ্রাহকদের প্রাসাদ এবং পরিমাণীয় তথ্য প্রাপ্ত করে তাদের ধারণার ভিত্তিতে আক্রমণ করে। সম্প্রতি FedEx কুরিয়ার সেবা এর নাম ব্যবহার করে হামাম ধরণের পরিচালনা করা ফোন কলের মাধ্যমে গ্রাহকদের ঠকানোর চেষ্টা দেখা গেছে। গ্রাহকদের এই ধরনের অপমানজনক প্রচারে প্রতিরোধ করা ও সতর্কতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন প্রশাসনের কার্যকরী উপায়ে সাইবার অপরাধীদের তাদের পরিকল্পনা বা প্রক্রিয়াকে অবাধ করা উচিত। এছাড়াও, গ্রাহকদের জন্য সতর্কতা অবলম্বন ও শেখানো হাতবদলের মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা বাড়ানো উচিত। একাধিক সুরক্ষা প্রয়োজন যেন অনলাইন সম্প্রদায় সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকে।
সংবাদের অনুযায়ী, FedEx নামক প্রতিষ্ঠানের আইডেন্টিটি অস্থির করে কিছু প্রতারক ব্যক্তি প্রতারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষদের জন্য ভয়জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এই অপরিচিত কলারা কিন্তু ভুতের মতো আকারে সম্প্রচারিত হচ্ছে, যেখানে কলারা প্রতারকরা অসৎ পদক্ষেপে যারা মানুষের মানসিকতায় প্রতারণা সৃষ্টি করছে। তাদের লক্ষ্য হলো লোকজনের ব্যক্তিগত তথ্য অর্জন করে অসম্পদ সৃষ্টি করা।
অস্থিতি নিরসনে, FedEx গ্রাহক কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত বলে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রতারণার খেলায় জেনে নিতে হবে যে, প্রতারকরা কমিউনিকেশনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে সাধারণ মানুষদের আরও অসম্পত্তি গড়ে তুলতে চাচ্ছে। এই বিষয়ে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রকারের ফাঁদে পড়লে, নিজের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্যের সাথে সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। নতুন অসম্পত্তির হুমকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এবং প্রতারকদের হাত থেকে পরিচয় ও অর্থনৈতিক তথ্য সুরক্ষিত রেখে থাকতে হবে।
হ্যাকাররা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিকে অপব্যবহার করছেন।
সাইবার অপরাধীরা এখন একটি অভিনব পদ্ধতিতে মানুষদের ঠকানোর ব্যবসা চালাচ্ছেন। এই পদ্ধতির মধ্যে ভিক্টিমকে বেআইনি বস্তু চালানোর ধরনের অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে ভয়ে ধরে রাখা হচ্ছে। এর পরে ভিক্টিমদের এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে হয় কুরিয়ার সংস্থা ফেডেক্সের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করার সাথে। ফোনের ডায়ালার থেকে ৯ ট্যাপ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে হ্যাকারদের দ্বারা।
ভিক্টিম যেই ৯ নম্বর ট্যাপ করে, তাদেরকে এক ভুয়ো কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হচ্ছে যিনি নিজেদেরকে ফেডেক্সের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত করে দেয়। আর এতে নিশ্চিত হওয়া হয় যে, ভিক্টিমের মনে কোনো ধরণের সন্দেহ না জাগে কারণ পেশাদার কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভদের মতো কথা বলা হয়। আর এর জন্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI প্রযুক্তির সাহায্যে নিয়ে হ্যাকাররা কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভের কথা বলার স্টাইল ক্লোন করছে।
হ্যাকাররা মানুষদেরকে ভুয়া নোটিফিকেশন এবং মেসেজ পাঠিয়ে ঠকাচ্ছে।
ভুয়ো ফোন কল স্ক্যামিং এর পাশাপাশি হ্যাকাররা এখন ফেক নোটিফিকেশন এবং মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমে লোকদের ঠকানোর চেষ্টা করছেন। অনেকগুলি সংস্থা হ্যাকারদের প্রতারণামূলক অফার এবং স্কিম মেসেজ বা নোটিফিকেশন হিসাবে ফোনে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই প্রচারিত অফার অথবা মেসেজগুলির মাধ্যমে অনলাইন শপিং ভ্রাম্য করা হতে পারে এবং এটি প্রধানত ব্যবহারকারীদের বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করে।
এই প্রকার ধরনের প্রতারণায় অনেক সময় অসতর্ক ব্যবহারকারীরা অনিচ্ছাকৃত লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলতে পারেন, যা তাদের ডিভাইসে ম্যালিশিয়াস অ্যাপ ইনস্টল করে তাদের গোপন তথ্য অধিগ্রহণের দ্বারা আক্রান্ত করতে পারে। অ্যাপটি ব্যবহার করে হ্যাকাররা ডিভাইসের সিস্টেম বাইপাস করে তাতে থাকা সমস্যা ডেটার অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হতে পারে।
অত্যন্ত মেরুদণ্ডগ্রহণযোগ্য বিষয় হল, যদি কোনো ব্যাংকিং অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকে, তবে অবশ্যই নিশ্চিত হন যে এটি ভাইরাসমুক্ত এবং বিশেষ সাবধানতা অনুসরণ করে।
সম্প্রতি প্রচলিত হয়েছে, কিছু হ্যাকার তাদের প্রতারণা চালাতে কল স্পুফিং এবং ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল প্রযুক্তির সাহায্যে কার্যকরী হচ্ছেন। কল স্পুফিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে হ্যাকাররা নিজেদের ফোন নম্বরের কল সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রেরণ করে বিভিন্ন প্রকারের অপরাধ সাজাতে পারেন। এটি সাধারণত সম্পর্কিত ব্যক্তির সন্নিবেশ পরিচালনা করে এবং তাদেরকে সামাজিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে সন্তুষ্ট করে।
ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ্যাকাররা প্রতারণা চালাতে পারে যা শুনতে গিয়ে একটি ব্যক্তির কথা বলতে মিলে, কিন্তু তার অবরোধন অসম্ভব। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে এবং সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এই সমস্যার সামগ্রিক প্রতিরোধের জন্য সাইবার সিকিউরিটি নীতিমালা এবং প্রযুক্তিগত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
তারা বিশেষভাবে ব্যবহার করে হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যারের নতুন প্রযুক্তিগত উদাহরণ উপস্থাপন করে এবং নতুন উদ্যোগ নেয়। এই প্রযুক্তিগত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি প্রত্যাশিত প্রতিরোধ ও সুরক্ষা উন্নতি করার জন্য এই প্রযুক্তিদের বিকশিত হওয়ার পরিকল্পনা করে।
আপনার সুরক্ষার ক্ষেত্রে স্ক্যামিং হতে বিরত থাকতে প্রায় এই বিষয়গুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
সরকারি সংস্থা থেকে অসুস্থ বা অস্থির সংদেশ পেলে সতর্কতা প্রকাশ করা জরুরী। কখনওই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যাংক বিবরণ, ন্যাশনাল আইডি নং ইত্যাদি কাউকে দেওয়ার অথবা কোন অর্থনৈতিক লেনদেন করার জন্য কোন একাউন্টে বিনা নির্দিষ্ট সম্পর্কে মনোনীত করা যাবে না। যদিও এই ধরনের ফোন থাকতে পারে তবে সাধারণত সরকারি সংস্থা আপনাকে ফোনে অথবা ইমেইলে যোগাযোগ করে কোন সংবেদনশীল বিষয়ে অবহিত করে।
সরকারি সংস্থা থেকে ফোন আসার সময়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। যেহেতু এই প্রকারের ফোন কমন, তাই ব্যক্তিগত তথ্য দিতে আগ্রহী হলে অত্যন্ত সাবধানে কাজ করতে হবে। কখনওই অজানা সোর্স থেকে অনুরোধ প্রাপ্ত হলে অবশ্যই এটি যাচাই করতে হবে। তথ্যের পরিচয় সত্যিকারের কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কলারের বিবরণ অথবা কোন অতিরিক্ত তথ্য যেমন অফিসিয়াল প্রকাশনীর আইডি প্রদান করা উচিত।
সামাজিক জ্ঞান অনুযায়ী, এই ধরনের ফোন স্প্যাম হতে পারে যা আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে উত্তেজিত করতে পারে। অতএব, যদি আপনি সন্দেহজনক বা অস্থির কোনো ফোন সেকশন পান তবে আগ্রহী ফোন নাম্বারটি ব্যবহার করে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে অবিলম্বে অভিযোগ করুন।
ভুলবশত অচেনা নম্বর থেকে আসা যে লিংকে ক্লিক করা হয়, সেটা আপনার ডিভাইসে ভাইরাস আক্রমণের উপায় হতে পারে। এই ধরনের ফেক লিঙ্কের মাধ্যমে ক্র্যাক সফটওয়্যার, ম্যালওয়্যার অথবা আরও জটিল পরিস্থিতির জন্য ভাইরাস সংজ্ঞায়িত করা হতে পারে। তাই অত্যন্ত সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার ফোনের সমস্ত অ্যাপগুলি আপডেট রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে নতুন সিকিউরিটি প্যাচ এবং ভুলগুলি ঠিক করা হয়ে থাকে, যা আপনার ডিভাইসের নিরাপত্তা বাড়ায়। অতএব, নিয়মিত অ্যাপ আপডেটেশন করার চেষ্টা করুন এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপডেট নোটিফিকেশন বা মেসেজ যাচাই করুন।
ছাড়াও, আপনি এন্টি-ভাইরাস সফ্টওয়্যার ইনস্টল করে রাখতে পারেন আপনার ডিভাইসে। এটি অবিশ্বাস্য ভাইরাস আক্রমণ বা মালওয়্যার বিদ্যমান থাকা সম্পর্কে আপনাকে সতর্ক করে রাখবে এবং আপনার ডিভাইস সুরক্ষিত রাখবে।
স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবশ্যই অবিচ্ছিন্ন থাকতে হবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো, অ্যাপ ইনস্টল করার সময় সর্বদা স্বতন্ত্র এবং বিশ্বস্ত সোর্স থেকে ইনস্টল করা। অ্যাপস্টোর বা গুগল প্লে স্টোর এর মতো প্রধান অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা অনুশীলন করা উচিত।
এছাড়াও, অনেক সময় হ্যাকাররা অ্যাপ স্টোরের বাইরে থাকা অতিরিক্ত অ্যাপস বা এপিকেএর (APK) ফাইল ব্যবহার করে মালিকানাধীন অ্যাপ প্রবেশ করে। এই থার্ড পার্টি অ্যাপস এবং APK ফাইল থেকে দুর্বলতা এবং গোপনীয়তা ঝুঁকিতে পড়ে তাই এদের ব্যবহার থেকে সাবধান থাকা জরুরি।
সর্বশেষতম, নিজেকে হোমের বাইরে পরীক্ষা করে দেখা উচিত কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার পূর্বে। আপনি যদি কোনো অ্যাপে সন্দেহজনক বা অস্বীকার্য কাজ বা প্রচারের চিহ্ন পান, তবে সেটি ইনস্টল না করাই ভালো। আরও দৃশ্যমান গুরুত্বপূর্ণ হলো, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের অনুমোদিত অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবিচ্ছিন্নভাবে মেনে চলা।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”5948″]
উপসংহার
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, কেনাকাটা করার সময় অনলাইনে কীভাবে সতর্ক থাকা উচিত। ফেডেক্স বা অন্যান্য ডেলিভারি সার্ভিসের নামে প্রতারণার ধারণাটি উত্পাদিত হয়ে থাকে সতর্কতা অভাবে। প্রতারণার চেষ্টা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে, সঠিক ও বিশ্বস্ত সোর্স থেকে কেনাকাটা করা জরুরি।
এছাড়াও, অল্প পরিমাণে তথ্য অথবা ধনের জন্য বিশেষ কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা অথবা কেনাকাটা করা উচিত নয়। প্রাথমিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে রাখা এবং অবশ্যই অস্বীকার্য সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা এবং সহজভাবে ধন প্রেরণ না করা জরুরি।
সর্বশেষতম, যদি কোনো সন্দেহজনক বা অস্বীকার্য কার্যক্রম বা পোস্টের সাথে সংলগ্ন হন, তবে তা আপনার জন্য ক্লিয়ারলি আরও একটি সন্দেহভাজন সাইনাল হতে পারে। একেবারেই সাবধান থাকা এবং সতর্কতা অবিচ্ছিন্নভাবে মেনে চলা জরুরি, যাতে আপনি ডেলিভারি নিয়ে প্রতারণার শিকার হতে না পারেন।