Vivo এবং Lava এমন কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে ইডি এখন প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) অধীনে চার্জশিট দাখিল করেছে।
গত বছরের জুলাই মাসে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED), একই মাসে চীনা স্মার্টফোন উত্পাদক সংস্থা এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং করার অভিযোগ করে। এই ঘটনার পরে, ইডি এখন বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে প্রযুক্তিগত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দাখিল করেছে।
এই সংবাদে উল্লেখযোগ্য হলো, যে এখন Vivo এবং Lava এমন বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে ইডি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) অধীনে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। প্রশাসনিক অধিকারীরা মন্নাত করছেন যে, এই সংস্থাদের মধ্যে কিছু অস্বীকৃত অর্থ লুকানোর জন্য বিভিন্ন কারণে এই মামলা উৎপন্ন হয়েছে।
এই মামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের অনুমান হয়েছে যে, ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ফেডারেল এজেন্সি অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর তথ্য অনুযায়ী শেল সংস্থাগুলির মাধ্যমে ভিভোকে ১ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা লন্ডারিং হয়েছে। এই খবর অনুযায়ী, এই অপরাধিক প্রক্রিয়ায় অনেকগুলি সংস্থা নিজেদের প্রতি লুকানোর চেষ্টা করছে।
একই সঙ্গে, এই অভিযোগের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সংস্থার দিকেও অবগতি প্রদান হয়েছে যে, একই মোড়ে লন্ডারিং এর অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধেও উঠেছে। এই সংস্থাগুলির দ্বারা দেশের বাহিরে লুকানো অর্থ পৌঁছেছে এবং এর ফলে দেশের অখণ্ডতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এই সংবাদ অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ইউনাইটেড স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল কোম্পানির এমডি হরি ওম রাই সহ চারজন ব্যক্তিকে এই অভিযোগের উপর গ্রেফতার করা হয়েছে ইউনাইটেড স্টেটস ইনভেস্টিগেটিভ ডিভিশন (ইডি) এর কার্যক্রমে।
ইডি নয়াদিল্লির একটি আদালতে জানিয়েছে যে, এই চারজন ব্যক্তি কালো টাকা লেনদেনে জড়িত হয়েছে এবং তাদের অনৈতিক ভাবে অর্থ লেনদেনের ফলে দেশের অখণ্ডতা এবং অর্থনীতি সংকটে পড়েছে।
ইডি আরো জানিয়েছে, ভারতের ভিভো একাধিক টেকনোলজি ব্র্যান্ড, যেমন Vivo India, অপব্যবহার করে চীনে প্রদানকৃত টাকা এড়ানোর অভিযোগে শৃঙ্গে মুখ খোলেছে। এই অভিযোগ অনুযায়ী, ভুলভাবে ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চীনে পাঠানো হয়েছে।
এই অভিযোগটির আলোকে, একইভাবে অনেক অন্যান্য টেক ব্র্যান্ডও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছে চীনে অর্থ স্থানান্তর করে। এই তথ্যের অনুযায়ী, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সংস্থা এই পদক্ষেপে অংশ নেয়েছে এবং চীনে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের প্রসার বাড়ানোর জন্য সহায়ক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে, Vivo India এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলি এখনো এই অভিযোগগুলি স্বীকার করেননি। তাদের দাবি হচ্ছে যে, এই তথ্যসমূহ মিথ্যা এবং তাদের বিরুদ্ধে অস্তিত্ব নেই। তাদের কাছে প্রথম থেকেই এই অভিযোগগুলি অসত্য এবং ভুলভাবে তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
এই প্রকারে, বিভিন্ন টেক ব্র্যান্ডের চীনে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সম্প্রসার ও স্থানান্তরের বিষয়টি একটি চর্চামূলক ও তীব্র বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
কি কারণে ইডি দ্বারা ৬২ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে?
ইডি মনে করছে যে, Vivo এবং Lava প্রতিষ্ঠানগুলি চীনে অর্থ স্থানান্তর করে ৬২ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দিয়েছে।
কিভাবে ইডি প্রমাণিত করছে এই অভিযোগ?
ইডি একধিক প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে প্রমাণিত করছে যে, ভুলভাবে এই প্রস্তুতি হয়েছে এবং টাকা চীনে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইডি কি ধারণা রয়েছে বিরুদ্ধানুবাদ করার জন্য ভিভো এবং লাভা প্রতি?
ইডি মনে করছে যে, ভিভো এবং লাভা প্রতি অভিযোগ স্বীকার করছেন না এবং এগুলি মিথ্যা এবং ভুলভাবে তৈরি হয়েছেনি।
কেমন প্রমাণ আছে চীনে অর্থ স্থানান্তর করার উপর?
ইডি একইভাবে অনেক অন্যান্য টেক ব্র্যান্ডও এই পথে চলেছে এবং তাদের চীনে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্থানান্তর করতে সহায়ক হতে পারে বলে ধারণা করছে।
ভিভো এবং লাভা কি কখনও এই অভিযোগগুলি নিশ্চিতভাবে অস্ত্য করেছে?
না, ভিভো এবং লাভা এই অভিযোগগুলি নিশ্চিতভাবে অস্ত্য করেননি এবং তাদের দাবি হচ্ছে যে, এগুলি মিথ্যা এবং ভুলভাবে তৈরি হয়েছে।
উপসংহার
৬২ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের উপসংহারে, ইডি নেপথ্যভাবে চার্জশিট ফাইল করেছে ভিভো এবং লাভার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের মৌল্যে ভিভো এবং লাভা সহিত অন্য কোনো টেক ব্র্যান্ডগুলির ক্ষমতা এবং নৈতিকতা নিয়ে গভীর পর্যালোচনা হচ্ছে। ইডি এই মামলার সত্যতা এবং যাচাইয়ের জন্য আবশ্যক তথ্য একত্র করে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে এবং এই অভিযোগের আলোকে কোনো আরও তথ্য বা প্রমাণ প্রদান করতে আগ্রহী।
এই ঘটনার ব্যাপক আত্মবিশ্লেষণের পাশাপাশি, ইডি এই মামলার সত্যতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ধারণা পেতে চাচ্ছে। এই অভিযোগটি তথ্যের জটিল মাধ্যমে চিত্রিত হচ্ছে এবং সার্বভৌম প্রতিবেদনের প্রকাশের পর, সামাজিক ও মাধ্যমিক মাধ্যমে এটি প্রচার এবং প্রচারিত হচ্ছে।