রানের শেষ ওভারে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর মহিলা দলের জন্য এক শূন্যের দূরত্ব অত্যন্ত নিখোঁজ বিষয় হয়ে দাঁড়াল। বাংলার মেয়ে রিচা ঘোষ ১৫ রানের অবদান রেখেছেন, তবে অবশিষ্ট এক রানের জন্য দলের অপেক্ষা অত্যন্ত জরুরী ছিল। দুঃখজনকভাবে, সে রান না পেতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর মহিলা দল মেয়াদের শেষে হেরে গিয়েছিল।
আজকের ম্যাচ দেখে প্রেমীরা অবাক হয়ে উঠতে পারেনি। মহিলা প্রিমিয়ার লিগের (WPL 2024) এ দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলা দল ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর মহিলা দলের মুখোমুখি ম্যাচ এক মজার দৃশ্য উপস্থাপন করে। যেহেতু ম্যাচে দুই দলের মধ্যে শুধু ১ রানের স্পর্শ ছিল, সেই দিন দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলারা হয়রানি উত্তরে দক্ষিণে অবস্থান নেয়।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এই চিরস্মরণীয় ম্যাচে অধিকাংশ দর্শকগণ উপস্থিত ছিলেন। এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলা দল এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর মহিলা দল। সম্পর্কে ম্যাচটি মাত্র ১ রানের জয়ে শেষ হয়ে গেলেও, এর প্রতিক্রিয়া এবং অতীতের কার্যক্রম এই ম্যাচকে একটি মেমরেবল ঘটনা করে তুলে ধরে।
আজ ম্যাচে টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলা দলের অধিনায়ক ম্যাগ ল্যানিং তাদের ব্যাটিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথমেই দলটি ব্যাট নিয়ে ম্যাচের ২০ ওভার শেষে অপ্রতিরোধ্য ১৮১ রান প্রস্তুত করে। এখানে জেমিমাহ রড্রিগেস ও অ্যালিস ক্যাপসির দ্বারা তৈরি মূল্যবান ৫৮ ও ৪৮ রানের পার্টনারশিপ দলকে উজ্জ্বল শুরু দিল। অতএব, দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটিং লাইনআপ ম্যাচে সঠিক গতি এবং সঠিক মুহূর্তে অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়েছে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর মহিলা দলের জন্য ম্যাচটি জিততে একটি দারুণ লক্ষ্য ছিল, যাতে ২০ ওভারে ১৮২ রান সংগ্রহ করতে হত। তবে, তাদের অবস্থান কঠিন হয়ে পড়ে যখন শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ৫ রানের মাত্রায় থাকে তাদের অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। তবে, সোফি মোলিনেক্স ও এলিসি পেরির উত্তম পার্টনারশিপ এবং পেরির আউটে বাকি ম্যাচ সমৃদ্ধিতে উপস্থিত হতে সাহায্য করে।
ম্যাচের শেষে ব্যাংকালোর মহিলা দল শুধু একটি নিজের সর্বোত্তম প্রদর্শন দেখাতে পারলেও ম্যাচ জিততে পারেননি। দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলা দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি ম্যাচ প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে তারা একটি সতর্কতা আস্তে আস্তি বুঝতে হবে।
মোলিনেক্স এর মধ্যেই মোলিনেক্সও ৩৩ রানে আউট হয়ে গেলেন। সোফি ডিভাইন এবং বঙ্গতনয়া রিচা ঘোষ এই মুহূর্তে ম্যাচের জয়ের দৌড়ে টিকিয়ে থাকলেন। ডিভাইন ২৬ রানে আউট হয়েছেন, তবে ম্যাচের হাল ছাড়তে অপ্রস্তুত ছিলেন বাংলার মেয়ে রিচা। ইনিংসের শেষ ওভারে আরসিবিকে জিততে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। রিচা ১৫ রান করলেও, মাত্র ১ রানের জন্য দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন। শেষ বলে রিচা দুর্ভাগ্যবশত রান-আউট হওয়ায় অল্পের জন্য এই ম্যাচ হারতে হয় আরসিবিকে।
তবে রিচার লড়াই ভোলার নয়, মাত্র ২৯ বলে ৫১ রান করে দলকে একমুহূর্তের জন্য হলেও জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল দলের কাছে অপরাজিত হয়ে আরসিবিকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া।
দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলা টিম বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর মহিলা ম্যাচের স্কোরকার্ড (Delhi Capitals Women vs Royal Challengers Bangalore Women Match Scorecard):
দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলা: ১৮১/৫ (২০ ওভার)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর মহিলা: ১৮০/৭ (২০ ওভার)
দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলা দল এই ম্যাচে মাত্র ১ রানে জয়লাভ করেছে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”4544″]
উপসংহার
WPL 2024-এর শেষাংশে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত গরম হয়েছিল। অপ্রাণ চেস্টা রিচার সেরা উদাহরণ দেয়েছিলেন, কিন্তু তার দল RCB সেই সাফল্যের চাপে থাকতে অবশ্যই দেখা দিয়েছিল। একেবারেই কিছু সময়ের জন্য এই চেষ্টা অফিসেট হলো, যখন তারা দিল্লির বিরুদ্ধে মাত্র ১ রানে হারে অবস্থান করে। এই স্বল্প পর্যায়ের হার সাধারণভাবে একটি খেলার সাথে তাদের সংশ্লিষ্ট দুঃখ এবং অবধারণা সৃজন করেছিল যে ক্রিকেটে যেতে এবং পরিস্থিতি পাল্টাতে সময় প্রয়োজন। তবে, এই অপশক্তির সাথে তাদের মোটিভেশন ও সঙ্গীতের দিক দিয়ে অবিচ্ছিন্ন থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়া যায়ের জন্য প্রয়োজন। অবশেষে, এই অবধারণা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ যাতে ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে আমাদের জীবনের সমস্যাগুলির সামনে অবস্থান করা এবং তা অতিক্রম করা শিখতে পারি।