এই বছরের গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা অনেকটা উগ্র হয়ে উঠেছে, যা ঘরে এবং বাইরে জনসম্মুখে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করছে। তাপমাত্রা যত বাড়ছে, ততই খাবার এবং সবজির জন্য উচিত সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। অনেক ঘরে যদি ফ্রিজের পার্টগুলি পুরানো বা যথেষ্ট কার্যকরী না হয়ে থাকে, তবে তার কারণে সঠিক ঠান্ডা এবং জনিত সতেজতা প্রদান করা সহজ হয়ে যায় না।
যদি আপনার বাড়ির পুরানো রেফ্রিজারে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়, তাহলে আপনাকে প্রথমে সেটির মেরামত এবং অবশ্যই যথাসময়ে মুছে নেয়া উচিত। সাথেই সাথে রেফ্রিজারে সঠিক টেম্পারেচার সেট করা ও যাচাই করা উচিত। অতএব, জলের বোতল বা অন্যান্য ঠান্ডা জনিত পণ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকবে।
এছাড়া, তাপমাত্রা বাড়ানোর প্রভাবে অনেক লোকের জল প্রয়োগ অব্যাহতি বাড়ে, যা জল সংযোগের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য একটি সহজ পরামর্শ হল জলের সংযোগের সিস্টেম নিয়মিতভাবে যাচাই করতে থাকবেন।
যদি ফ্রিজের কম ঠান্ডা হওয়া সমস্যা দেখা যায়, তা সচেতন করা উচিত যে এটি শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত সমস্যার ফলাফল নয়। সাধারণত এর জন্য অনেক সময় ঘরের কোন অভ্যাস দায়ী হতে পারে, যেমন ফ্রিজের দরজা খোলার অভ্যাস অথবা ফ্রিজে অধিক পরিমানে খাবার রাখা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথমে অভ্যাস পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
অধিক পরিমানে খাবার ফ্রিজে রাখলে তার ঠান্ডা প্রতিস্থান হতে কমে যেতে পারে। এছাড়া ফ্রিজের দরজা ধীরে ধীরে খোললে এর ঠান্ডার স্তর কমে যেতে পারে। তাই ফ্রিজে অধিক সময় খোলা না থাকাই শ্রেয়।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য ফ্রিজের পাওয়ার পরীক্ষা করা উচিত, এবং আপনি যদি কোনো সমস্যা পান, তা তা��েম্পারেচার সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। এছাড়া, ফ্রিজের সরাসরি সৌর প্রতিস্থানে রাখা থেকে ফ্রিজের পাওয়ার প্রদানে অধিক অবরোধ হতে পারে এবং তার ঠান্ডার স্তর কমে যেতে পারে।
কীভাবে পুরোনো ফ্রিজের কুলিং ক্ষমতা বাড়াবেন?
১. ফ্রিজে সঠিক জিনিস রাখা: অধিকাংশ সময়ে, মানুষ সস্তা ফ্রিজ কিনে নেয় এবং তাতে অনেক জিনিস ভরে রাখে। এটি ফ্রিজের ঠান্ডা কমার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কারন এমন অবস্থায় রেফ্রিজারের এয়ার ফ্লো ঠিকমত হয় না। শীতলতা বনাধনে সঠিক বায়ুপ্রবাহ প্রযুক্তিগতভাবে জরুরি। সেই জন্য ফ্রিজে জিনিস সঠিক পরিমাণে রাখা উচিত বা বড় সাইজের ফ্রিজ বিবেচনা করা উচিত।
২. তাপমাত্রা নিরাপদে সেট করা: অধিকাংশ মানুষ ঠান্ডা আবহাওয়ায় রেফ্রিজারের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখেন, কিন্তু গরম আবহাওয়ায় এটি বাড়াতে ভুলে যায়। এক্ষেত্রে, গরম আবহাওয়ায় পুরাতন ফ্রিজের তাপমাত্রা ৩৫-৩৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে রাখা উচিত বা সামার মোড চালু রাখা উচিত।
৩. দরজার সিল পরিদর্শন: ফ্রিজের দরজায় একধরনের রাবার থাকে যা ভেতরের বাতাস বের হওয়া নিশ্চিত করে। অক্ষম রাবার ফ্রিজের ঠান্ডানো ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পুরানো ফ্রিজে রাবার নষ্ট হলে তা পরিবর্তন করা উচিত।
৪. কনডেন্সার কোয়েল পরিষ্কার রাখা: কনডেন্সার কোয়েল ফ্রিজের পিছনে থাকা ধাতব জাল যা ধুলো-ময়লা আটকে গেলে ফ্রিজের কার্যক্ষমতা কমে যায়। বছরে একবার এই কোয়েল পরিষ্কার করা উচিত।
৫. রিয়ার ফ্যান পরিদর্শন: রেফ্রিজারে একটি ফ্যান আছে যা গরম বাতাস বের করে দেয়। যার কারণে ফ্রিজ ঠান্ডা থাকে। যাচাই করুন ফ্যানটি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”5563″]
উপসংহার
স্বাভাবিকভাবে পুরোনো ফ্রিজে ঠান্ডা না থাকলে সেই সমস্যাটি সমাধানের কিছু সহজ উপায় আছে। প্রথমত, ফ্রিজের পিছনের গ্রিল স্পেস নিজে নিজে সচেতন করতে হবেন যাতে ভালো এয়ার সার্কুলেশন থাকে। দ্বিতীয়ত, কোনোভাবেই ফ্রিজের দরজা অধিক সময় খোলা থাকবেন না এবং যদি সম্ভব হলে ফ্রিজের দরজার সিল পরিক্ষা করুন।
তৃতীয়ত, ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা স্তর সঠিক রাখার জন্য সেটিং ঠিক করতে হবে। চতুর্থত, ফ্রিজে অধিক মোটামুটি খাবার না রাখা উচিত, যাতে এয়ার সার্কুলেশন ঠিকমতো কাজ করতে পারে। পাঁচমত, ফ্রিজে অধিক ফ্রীজার এলাকা ভরা রাখবেন না, কারণ এটা অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।