সোমবারের খেলায় দীনেশ কার্তিক মোগারা কোচ হিসেবে সহযোগীত্ব করেছিলেন, কিন্তু তার প্রয়াস ব্যর্থ হয়ে গেল। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ বিরুদ্ধে ম্যাচে ২৫ রানে হার করে তারা জয় লাভ করতে পারেননি। কার্তিক একাউন্ট করতে চেয়েছিলেন ম্যাচের জয়ের অধিকার, কিন্তু দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা তার সাহায্য করতে পারেননি।
আজ আইপিএল ২০২৪ এর তিনতম ম্যাচে, বেঙ্গালুরু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু মুখোমুখি হয়েছে। হায়দ্রাবাদ এই ম্যাচে মোমেন্টাম নিয়ে অভিজ্ঞতা নিয়েছে, কারণ তারা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ টিম টোটাল করেছিলেন। তাদের আশা হলো অপর ম্যাচে প্রদর্শন উন্নত করবে এবং জয় অর্জন করবে।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এই সিজনে সাফল্য পেয়েছে এবং তাদের প্রত্যাশা তাদের প্রদর্শনের মাধ্যমে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের জন্য এই ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাদের জয়ের অবসান নিশ্চিত করতে হবে। বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা তাদের জয়ের পথে অগ্রাধিকার প্রদান করতে পারে এবং তাদের উত্সাহ বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হতে পারে।
হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যান অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড প্রথম দিকে এক ভয়ংকর অধিনায়কত্ব প্রদর্শন করে। অভিষেক মাত্র কিছু বলে খেলায় আরসিবির বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং প্রতিক্রিয়া প্রদান করেন। এক পর এক শতরান এবং বড় শট মেরে তিনি মাত্র ৩৯ বলে প্রথম আইপিএল শতরান করেন। ট্রাভিস হেডের পার্ফর্মেন্স অপেক্ষা করে হায়দ্রাবাদের টিম রেকর্ড ভাঙতে অগ্রসর হয়, অরেঞ্জ আর্মি তাদের শতরান থেকে বাঁচান।
অভিষেকের পাশে থেকে বোলারদের দিকে একটি অভিষক্ত প্রদর্শন করেন হেনরিখ ক্লাসেন। তিনি বিশেষ করে মাঝে মাঝে বোলিং দিয়ে ৩১ বলে ৬৭ রান করেন। তার দ্বারা টিমের রান রেট বাড়তে সহায্য হয়েছে। শেষ অবধিতে আব্দুল সামাদ এক উজ্জ্বল ক্যামিওতে ২৮৭ রানের বিশ্বকাপ রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন। এই জয়ের সাথে হায়দ্রাবাদের টিম অত্যন্ত আনন্দিত।
হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং লাইন অত্যন্ত সজীব এবং তাদের ভিত্তি অত্যন্ত স্থির। এই উপস্থিতি মাঝে মাঝে টিমের কাজে লাগে যা তাদের জন্য জয়ের মার্গ তৈরি করেছে। অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেডের কাজের পাশে থেকে টিমের অন্যান্য সদস্যদের পার্ফর্মেন্স এবং প্রতিবেশীক চেম্পিয়নশিপ মানে একটি উজ্জ্বল দৃশ্য তৈরি হয়েছে।
ফাফ ডু প্লেসিস এবং বিরাট কোহলির যৌথ প্রদর্শন শুরুটা মজার অবস্থানে রেখেছিল, কিন্তু উইকেট হারানো হলেও ম্যাচ থেকে বেরিয়ে গেছেন আরসিবি। দীনেশ কার্তিক তার পারফর্মেন্স দিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে গেছেন, তবে শেষ অবধি ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ হলেন। হায়দ্রাবাদ ২৫ রানে জয় পেল।
এই ম্যাচটি আইপিএল ইতিহাসের একটি অসাধারণ ম্যাচ হিসেবে প্রশংসা পাবে। এখানে অনেক রেকর্ড তৈরি হয়েছে। আইপিএল ইতিহাসে চেসিং টিম হিসেবে সর্বোচ্চ স্কোর করে আরসিবি নিজেদের নামে করেছেন। এছাড়া, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ম্যাচ হয়েছে সর্বোচ্চ রান স্কোরের। এছাড়া, এই ম্যাচে ৫০ এর অধিক চার প্রথমবারের মতো হয়েছে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।
ম্যাচের পারফর্ম্যান্স এক নজরে দেখা যায় যে ফাফ ডু প্লেসিস এবং বিরাট কোহলির প্রথম ইনিংসে মিলিয়ে ২০৫ রান স্কোর করেছেন। এর পরে আরসিবি তাদের প্রতিস্থান দিতে সক্ষম হয়েছে এবং ম্যাচ জিতে গেছে। উল্টো দিক থেকে হায়দ্রাবাদ সঠিক সময়ে স্পিনার সিদধার্থ কুলকর্ণির ভূমিকা অন্যতম।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”5428″]
উপসংহার
গড়ল ইতিহাস ভাঙলো রেকর্ড, শুধু আইপিএল নয়, বিশ্ব টি-২০-কে এই ৪টি রেকর্ড গুলি উপহার দিল RCB-SRH ম্যাচ। রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাংগালোরে (RCB) ও সানরাইজার্স হাইদ্রাবাদ (SRH) এর মধ্যে আজকের ম্যাচে দেখা গেল কয়েকটি অবাধ রেকর্ডের উপহার। এই দুটি দলের মধ্যে যে টি-২০ ম্যাচে হলো, সেটি অবাক করে রেকর্ড ভাঙা উচিত হিসেবে মনে হয়।
প্রথম রেকর্ড হলো সানরাইজার্স হাইদ্রাবাদ (SRH) দ্বারা সেট করা রেকর্ড স্কোর, যা রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাংগালোরে (RCB) দ্বারা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাংগালোরের (RCB) একটি বিস্ফোরক ব্যাটিং প্রদর্শনের মাধ্যমে অন্য দুটি রেকর্ড ভাঙা হয়েছে।