আজ আইপিএল ২০২৪ এর দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে মুখোমুখি হল দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্যাচে প্রধান কারী হতে পারতে ছিল দিল্লির ঋষভ পান্থ, তার পালায় পাঞ্জাবের বোলারদের গুণাগুণ চ্যালেঞ্জ দেয়া হত। কিন্তু দিল্লির শুরুর উজ্জ্বলতা ধরে রেখেই পাঞ্জাব কিংসের বোলাররা অসফল করে দিল্লির ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে উল্লেখযোগ্য দক্ষতা দেখাতে পারেননি।
ঋষভ পান্থের দিল্লি ক্যাপিটালস পক্ষ থেকে একটি দ্বিগুণ চ্যালেঞ্জ ছিল পাঞ্জাবের জন্য। তার দ্বারা পরিচালিত ব্যাটিং লাইন প্রথম অধিকারের প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছিল পাঞ্জাবের প্রতি বোলারের অধিকারে। কিন্তু পাঞ্জাব কিংসের বোলাররা উচ্চমানের দক্ষতা দেখিয়ে এই বোলারের স্ট্রাইক পার্টনারশিপ মুক্ত করে নেওয়ার সম্মিলিত চেষ্টা করে।
চূড়ান্তভাবে, পাঞ্জাব কিংস এই ম্যাচে অত্যন্ত উচ্চমানের মনোবল নিয়ে জয় অর্জন করে। ঋষভ পান্থের দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পাঞ্জাব কিংস ম্যাচের নির্ণয় গ্রহণ করে গেল। তাদের অগ্রগতিতে এই জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যেখানে দিল্লির প্রতিষ্ঠান একটি সক্রিয় প্রতিযোগিতামূলক মুকাবেলায় অংশগ্রহণ করে।
চন্ডীগড়ের মহারাজা যদাবিন্দ্র সিং স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে প্রথমেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। দিল্লি ক্যাপিটালস ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে মোট ১৭৪ রান করে। ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ একে অপরকে সাথে সম্প্রতি মিলিয়ে ২৯ এবং ২০ রান যেতে পারেন। পরবর্তী ব্যাটার শেই হোপও ৩৩ রান করেন এবং ঋষভ পান্থ তার প্রাথমিক এই ম্যাচে প্রায় ১৫ মাসের ব্যাবস্থা থেকে ১৮ রান যাচাইতে সক্ষম হন। আখেরি ব্যাট থেকে অক্ষর প্যাটেলের দ্বারা ২১ রান এবং বাংলার অভিষেক পোড়েলের উপরে ১০ বলে ৩২ রান এনে দিল্লি ম্যাচে এগিয়ে যায়।
পাঞ্জাব কিংসকে এই ম্যাচটি জিততে হলে ২০ ওভারে ১৭৫ রান প্রয়োজন ছিল। ম্যাচের প্রথম অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান এবং জনি বেয়ারস্টো যখন ব্যাট করতে এসে উত্তম শুরু করেন, তখন মোট রানে আগে চতুর্থ ওভারেই ইশান্ত শর্মা বলে আউট হন। এই ওভারেই মাত্র ৩ বলে ৯ রানের দুর্ভাগ্যবশত জনি বেয়ারস্টো এর খেলা শেষ হয়। পরে ব্যাট করতে এসে প্রভাসিমরান সিং বিশেষ স্বার্থপর খেলা দেখাতে ১৭ বলে ২৫ রান করেন।
এই ম্যাচে পাঞ্জাব কিংস অনেক কিছু মিস করেন, কিন্তু এক্ষেত্রেও শিখর ধাওয়ান এবং প্রভাসিমরান সিং এর সেরা প্রদর্শনের সঙ্গে তারা একটি ভালো মাধ্যমে চলে গেলেন। এই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস একটি প্রতিস্পর্ধা জিতে দাঁড়িয়ে থাকে।
পরবর্তী ব্যাটসম্যান হিসাবে মেট্রোরাইলের চালক এসেন লাজি। লাজি প্রথম থেকেই ধৈর্যের সঙ্গে ব্যাট ধরে দলের স্কোর বাড়িয়ে নিয়ে যায়। তার অপর পার্টনার তুহিন মাস্তানীর সাথে তার পার্টনারশিপে দেখা যাচ্ছিল একটি অল্প রোমান্টিক চলচ্চিত্রের মতো। তবে, তার একটি বিদ্রোহীর অবস্থানে খেলার চাহিদা উপস্থিত ছিল।
গোলা খেয়ে এই দুই ব্যাটসম্যান একটি দীর্ঘ দীর্ঘ পার্টনারশিপ চলিয়ে যায়, যা টিমকে জয়ের দিকে নিয়ে গেল। লাজি ব্যাট থেকে আসেন ৭২ বলে ৮৮ রান করে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্কোর অর্জন করেন। তবে, একটি কঠিন অবস্থায়, তার পার্টনার তুহিন এর সহানুভূতি চেয়ে নিতে হল লাজির।
শেষে, তাদের অসাধারণ পার্টনারশিপের ফলে টিম জয় পেল। লাজির লক্ষ্যের সাথে মেট্রোরাইল এক স্মার্ট জয় অর্জন করে। তার একাধিক পার্টনারশিপ এবং দলের জন্য সঠিক সময়ে ব্যাট ধরা, তার জীবনের সেরা প্রদর্শন ছিল।
পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচের স্কোরকার্ড (Punjab Kings vs Delhi Capitals Match Scorecard)
দিল্লি ক্যাপিটালস অবশ্য একটি চ্যালেঞ্জিং ট্যার্গেট সেট করেছিলেন, যেটি ২০ অভারে ১৭৪ রান প্রাপ্তি করতে হতো। তবে তাদের বোলিং পরিস্থিতি উপযুক্ত ছিল না।
পাঞ্জাব কিংস খুব নিখুঁত খেলা উপস্থাপন করে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছিয়ে দেয়। একাধিক উইকেট হারাতে পারলেও, তারা ১৯.২ অভারে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে ম্যাচ জিতে নেওয়ার সফলতা অর্জন করেছেন।
এই ম্যাচে পাঞ্জাব কিংস চার উইকেটে জয়লাভ করে অত্যন্ত সহজসাধ্য জয় অর্জন করেছে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”4806″]
উপসংহার
পাঞ্জাব কিংস বন্ধুদের মধুর হলনা পান্থের কামব্যাক দেখিয়েছে, যা দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অনেক কিছু নতুন দেখা দেওয়ার মাধ্যমে একটি অসাধারণ জয় অর্জনের উপর প্রাধান্য দিয়েছে। নতুন মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের হার প্রথম জয় শিখরদের জন্য একটি কাঠামো সৃষ্টি করেছে, যা তাদের পরবর্তী ম্যাচে উন্নতির উপযোগী করা হবে। এই ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের জয় দেখিয়েছে তাদের বিশেষ ক্ষমতা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরোধী দলদের উপর প্রেশাধী হারের দায়িত্ব চিহ্নিত করেছে। এই দুটি দলের মধ্যে আগামীতে আরও মুকাবিলা দেখা যাবে, যা সাক্ষাৎকারকের মতে টোটাল ক্রিকেট আনন্দ অনুভব করতে সাহায্য করবে।