OnePlus 12 এখন ভারতে লঞ্চ হয়েছে এবং এটি দ্রুততম বিক্রি হচ্ছে কারণ এটি একটি ফ্ল্যাগশিপ মডেল। এই স্মার্টফোনে পেরিস্কোপ ক্যামেরা, ওয়্যারলেস চার্জিং, এবং অ্যাকোয়া টাচ প্রযুক্তির মতো অনেক আকর্ষণীয় ফিচার রয়েছে। একজন প্রতিষ্ঠিত টেক ইউটিউবার এখন এই স্মার্টফোনের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে ডিউরাবিলিটি টেস্ট করে ভিডিও প্রকাশ করেছেন। OnePlus 10 Pro, 10T এবং OnePlus 11 এর সাথে তুলনা করে দেখা যায়, OnePlus 12 এর বিল্ড কোয়ালিটি প্রার্থনার পরিবর্তে খুব শক্তিশালী।
OnePlus 12-এ কোম্পানির অ্যাকোয়া টাচ প্রযুক্তির উপস্থিতির ফলে ব্যবহারকারীরা ভেজা হাত দিয়েও ফোনের স্ক্রিনে টাচ করতে পারেন। ইউটিউবার জ্যাক নেলসন এই বৈশিষ্ট্যটির ব্যবহারযোগ্যতা পরীক্ষা করার আগে স্ক্রিনে দু’বার জল স্প্রে করেন যাতে ওয়ানপ্লাস 12 এর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা যায়। এই টেস্টে, তিনি আইফোন ১৫ প্রো এবং সামসাং গ্যালাক্সি এস 24 আল্ট্রা-কেও সহ তিনটি ডিভাইস ব্যবহার করে তাদের পাশাপাশি তুলনা করেন।
জ্যাক এই তিনটি ডিভাইসে বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষর ব্যবহার করে একটি বাক্য টাইপ করেন, এবং তিনি সোয়াইপ টেক্সট এবং নর্মাল প্রেডিক্টিভ সাজেশন ব্যবহার করেন। এই পরীক্ষার ফলে, অ্যাকোয়া টাচ প্রযুক্তি ওয়ানপ্লাস 12-এ খুব ভালোভাবে কাজ করেছে এবং এটি অন্যান্য সহযোগী ডিভাইসগুলির সাথে তুলনামূলকভাবে পর্যালোচনা করা যায়।
আইফোন ১৫ প্রো বেশ কিছু টেস্টে বিফল হয়েছে, এটি পূর্ণরূপে ওয়েট টাচ টেস্টে ব্যর্থ হয়েছে এবং ইউটিউবার এতে স্বাইপ জেস্চারের সঙ্গে একটা শব্দ লিখতেও অক্ষম হয়েছে। এছাড়াও, যখন ফোনটি ডিলিট করার জন্য ‘এইচ’ অক্ষর সিলেক্ট করা হয়, তখন ভুল ইনপুট রেজিস্টার হয়েছে। এই পরীক্ষা আইফোন ১৫ প্রো ব্যবহারকারীদের এবং অন্যান্য আইফোন ব্যবহারকারীদের উপর একটি সতর্কতা দেয় যে, তাদের ফোনটি ভেজা অবস্থায় ব্যবহারযোগ্য নয়।
অপরদিকে, OnePlus 12 এর গরিলা গ্লাস ভিকটাস ২ (Gorilla Glass Victus 2) শিল্ডেড ডিসপ্লে স্ক্র্যাচ টেস্টে আপনার মুখ একটা হলুদ পটাকা হবে। এটি লেভেল ৬ থেকে স্ক্র্যাচ শুরু করে এবং লেভেল ৭ এ পৌঁছাতে গভীর দাগ পাওয়া যায়। যদিও ফোনের অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের উপর স্ক্র্যাচ হয়, তবে টেক্সচার্ড গ্লাস নির্মিত ব্যাক প্যানেলটি একই মানে বিচরণ করে। ক্যামেরা সেন্সরগুলি সুরক্ষিত রয়েছে একটি মোটা কাচের লেন্স দিয়ে, তাতে ব্যবহারকারীদের চিন্তা করতে হবে না যে তাদের লেন্স নোংরা হতে পারে।
ইউটিউবার তত্ত্বাবধায়কগণ যুক্ত করেছেন যে, OnePlus 12-এর অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারটি রুঢ়ভাবে ব্যবহার করার পরেও ত্রুটিহীনভাবে কাজ করে। যদিও এটি স্ক্যানারের জন্য একটি উন্নত পদ্ধতি, তবে অনেকে এই সমস্যার সম্মুখীন হনে সতর্ক থাকা উচিত।
অবশেষে, স্থায়িত্ব পরীক্ষায় সবচেয়ে কঠিন অংশ হল বেন্ড টেস্ট, যা অর্থাৎ ডিভাইসটি পিছনে থেকে OnePlus 12-কে বাঁকানোর চেষ্টা করে এবং এতে সামান্য ফ্লেক্স দেখা যায়। ডিভাইসটির সামনের দিক থেকে তার ক্যামেরা মডিউল এবং অ্যান্টেনার কাছে সামান্য বেঁকেছে তবে সৌভাগ্যক্রমে এই পরীক্ষায় ডিভাইসটির তার পূর্বসূরির মতো পরিণতি হয়নি, এটি কোন বিপর্যয়কর ক্ষতি ছাড়াই বেন্ড টেস্টে উতরে গেছে। সুতরাং, প্রথমে যেই অন্যান্য ফোনে এই ধরনের সমস্যা দেখা গেছে, তার সমাপ্তি পেয়ে যাওয়া অদ্ভুত মূল্য বিচারে এই পরীক্ষা বেশি অভিন্ন এবং চোখে পড়ার যোগ্য হয়ে উঠে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”4064″]
উপসংহার
অবশেষে, দুর্নাম ঘোচাতে পারল OnePlus, এবং এই ঘটনা তৈরি করেছে স্মার্টফোনের ডিউরাবিলিটি টেস্টে একটি আবার চিহ্ন। এটি প্রমাণ করেছে যে, স্থায়িত্ব এবং শক্তি একটি স্মার্টফোনের সাথে সহজেই সংগঠিত হতে পারে না, এবং প্রযুক্তির নতুন ধারণার অন্ধকারে এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য আরও প্রচেষ্টা করা প্রয়োজন। এই ঘটনা স্মার্টফোন উৎপাদন ও ডিজাইনে দীর্ঘদিনের সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য একটি জরুরী সম্মানসূচক।