ভারতের সরকার প্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে উন্নতি নির্মাণের দিকে এগিয়ে এবং প্রযুক্তিতে স্বাধীনতা অর্জনের উদ্যোগের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত “প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ” (PLI) স্কিম একটি প্রধান অংশে এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান উদ্দেশ্য করে এই স্কিমের অধীনে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট নির্মাতাদেরও মূল্যবান প্রোডাক্ট তৈরির কাজে নিযুক্ত করা।
স্কিমের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল দেশের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান রাখা, যা উদ্যোগী নিজের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন সেটাকে ক্ষমতাযুক্ত করবে। এই উদ্দেশ্যের মাধ্যমে প্রথমেই এই ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে এবং তারপরে বিদেশী সংস্থারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎপাদন পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রোডাক্ট উৎপাদন করতে উৎসাহিত করা হবে।
এই প্রস্তাবিত পরিকল্পনা মাধ্যমে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকগুলি অপেক্ষার পর্বের পরে প্রগতির পথে একটি মিলস্তম্ভ হতে পারে। এটি একটি মেরুর ধারার সূচনা, যা দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ এবং গৃহীত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি নতুন দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ভারতে স্মার্টফোনের বেশিরভাগ পণ্য ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল সহ বিক্রি হয়। তবে, এই ডিভাইসগুলি প্রধানত ভারতে তৈরি না, পরে এখানে অ্যাসেম্বলি করা হয়। অতএব, টেক ব্র্যান্ডগুলির মূল দামে অত্যাধিক আমদানি শুল্কের প্রেসারে মোবাইল দাম একটা কমানো সম্ভব হয় না। সামগ্রিকভাবে, ভারতে একটি ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য সরকার সক্রিয়ভাবে পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে।
সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গেছে যে, নতুন PLI স্কিমের অধীনে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, আমেরিকা ইত্যাদি দেশের কয়েকটি কম্পোনেন্ট নির্মাণকারী সংস্থা ভারতে ব্যবসা বিস্তারে আগ্রহী হচ্ছে। তাদের মূল ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট চীনে অবস্থিত থাকতে পারে, তবে ভারতে উৎপাদনে লাভবান হতে পারে। এছাড়াও, ভারত সরকার মূল্যের প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের লক্ষ্য নেওয়া আছে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন প্রশ্নে পর্যাপ্ত আত্মনির্ভরশীলতা ও বিস্তারিত হতে পারে। এটি উদ্যোগীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ সম্ভাবনা প্রদান করে যারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চান। এছাড়াও, এই ধাপের মাধ্যমে কেনার-বেচারের বিকেন্দ্রীভূত এলাকাগুলির একটি উদাহরণ হিসাবে ভারত প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরশীলতা অনুভব করতে পারে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি মোবাইল উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কম্পোনেন্টগুলির আমদানি শুল্ক কমানোর উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপে আমদানি শুল্কগুলি প্রাথমিকভাবে ১৫% থেকে কমিয়ে ১০% করা হয়েছে, যা মোবাইল উৎপাদনের মূল ব্যয়ের প্রশ্নবিশেষে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে গণ্য। এই নতুন নীতির অধিকাংশ কম্পোনেন্টগুলির জন্য প্রযোজনীয় যেমন স্ক্রু, সিম সকেট, ধাতব যান্ত্রিক উপাদান, ব্যাটারি কভার এবং অন্যান্য আমদানি কম্পোনেন্টগুলিও উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে স্মার্টফোন উৎপাদনের সংক্রান্ত এই নতুন নীতি একটি পরিবর্তনশীল দিকে ধাবন করতে পারে। এটি একটি উপায় হতে পারে দেশে নতুন একটি স্বনির্ভর ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি উন্নীত করার জন্য, যা প্রযুক্তিগত উন্নতির পথে প্রবেশ করতে পারে এবং স্মার্টফোনের উৎপাদন ও রপ্তানি স্থানীয় বাজারে বৃদ্ধি দেওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির পথেও প্রয়োজনীয় একটি চরম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। এই নীতি তাদের জন্য একটি উত্তেজনামূলক অফার হতে পারে যেটি উদ্যোগী তাদের আকর্ষণ করতে পারে দেশে নির্মিত স্মার্টফোন উৎপাদনের জন্য।
ভারতের সরকারের নতুন ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারদের জন্য এই নতুন নীতি আকর্ষণীয় হতে পারে। এটি তাদের জন্য নতুন বাজার খোলা এবং দেশে নির্মিত পণ্য উপলব্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, যা তাদের উন্নতি ও প্রস্পেরিটি বাড়ানোর সাথে সাথে ভারতের ইলেকট্রনিক
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”3926″]
উপসংহার
স্মার্টফোনের দাম কমছে এবং এদেশেই ফোনের যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছে কম্পোনেন্ট নির্মাণ সংস্থারা একটি নতুন সফল উদাহরণ প্রদর্শন করছে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে। এই প্রগতিশীল ধারার কারণে, স্মার্টফোনের মূল্য অনুযায়ী অধিক মানুষের কাছে অ্যাক্সেসিবিলিটি বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি স্থানীয় উদ্যোগের সাথে সাথে তথ্য প্রযুক্তিগত উন্নতির পথে একটি আরো প্রবেশদ্বার খুলে দিয়েছে।
এদেশের ফোনের যন্ত্রাংশ তৈরি করা এই কম্পোনেন্ট নির্মাণ সংস্থারা প্রযুক্তিগত স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক প্রোফাইল বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি উন্নত বাজারের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দাম নিয়ে কাজ করে এবং স্থানীয় উদ্যোগের সাথে সমন্বয়ে প্রোডাক্ট উন্নতির পথে অগ্রগতি করছে। এই প্রস্তুতি নতুন সংস্থাগুলির জন্য আকর্ষণীয় একটি প্রস্তাব হিসাবে পরিণত হতে পারে, যা বিনামূল্যে স্মার্টফোন উৎপাদনের জন্য নতুন উদ্যোক্তাদের আকর্ষণ করতে সাহায্য করতে পারে।