এই বছরে, টাটা মোটরস একাধিক গাড়ির উপর কাজ করে তাদের লঞ্চের টার্গেট নিয়ে। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই Harrier এবং Safari এসইউভি’র ফেসলিফ্ট ভার্সন লঞ্চ করেছে। এবার তারা প্রতিকূলিত শোনাচ্ছেন, তাদের একটি নতুন মডেল, Tata Nexon CNG, খুব শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে। গত বছরের অটো এক্সপো মোটর শো-তে এই মডেলটি প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল। ইদানিং এর একাধিকবার টেস্টিং চালাতে দেখা গিয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এটি বাজারে লঞ্চ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
Tata Nexon CNG এই গাড়িটির উন্নত কারণগুলির মধ্যে একটি হল পরিবেশে মানব স্বাস্থ্যের দিক থেকে সহায়ক হোক। এটি প্রধানত স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিবেশবান্ধব কারণে প্রশংসিত হতে পারে। এটির অত্যাধুনিক ডিজাইন এবং কার পার্কিং এবং পারিবারিক যাতাযাতের জন্য অধিক পরিচিত হতে পারে। এটির এনজিন এবং ইলেক্ট্রিক সিস্টেমস একইভাবে উন্নত যা গাড়িটিকে দ্বিগুণ অধিক বিদ্যুৎ সঞ্চয় এবং দুর্বল বিদ্যুৎ স্টেশনের সাথে সম্পৃক্ত করে।
টাটা মোটরসের প্রতিষ্ঠানের এই নতুন উদ্যোগ অব্যাহত রকমের উন্নতি ও সংস্থার নিজস্ব পরিবেশের দিক থেকে সমর্থন পেতে পারে। নতুন এই মডেল প্রজনন ও পরিবেশের দিক থেকে সহায়ক এবং এটি একটি সুস্থ এবং বিনয়ী বিকল্প প্রদান করতে পারে যা এই সময়ের প্রয়োজন। এটির লঞ্চের প্রক্রিয়াটি সাধারণ মানুষের জীবনে স্বাভাবিক এবং সহজ করতে সাহায্য করতে পারে।
গ্লোবাল এনক্যাপ (GNCAP) এর ৫-স্টার রেটিং অর্জন করেছে Tata Nexon অবশ্যই ভারতের সেরা সাব-৪ এসইউভির একটি। এই গাড়িটি ভারতীয় বাজারে বেশ জনপ্রিয় এবং বিক্রি সংখ্যায় সেরা অবস্থানে রয়েছে। এর দ্বিতীয় স্থানে অবস্থিত Hyundai Venue এবং Maruti Suzuki Brezza প্রতিপক্ষও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। তবে, বিশেষভাবে Tata Nexon এর এনক্যাপ রেটিং এর মাধ্যমে এই গাড়িটি নিশ্চিতভাবে অদ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান প্রাপ্ত করেছে।
তবে, প্রথমেই উল্লেখযোগ্য যে Tata Nexon এর সিএনজি অবতার অনেক আগেই ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করেছিল। তারপরেও এই গাড়ির SUV অপশন অনেকটাই সংখ্যায় কম। এখন তার গুনগত মান এবং স্টার রেটিং দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটি ভারতীয় ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। একাধিক অভিজ্ঞ গাড়ি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তার এই অভিজ্ঞতার সাথে সম্পক্ত বিবেচনা করে সাধারণ ব্যবহারকারীরা তাতে আকর্ষিত হচ্ছেন।
Tata Nexon এর সাথে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে Hyundai Venue এবং Maruti Suzuki Brezza, যেগুলি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড এবং উন্নত বৈশিষ্ট্য দ্বারা জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে, Tata Nexon এর গুনগত মান এবং স্টার রেটিং এর মাধ্যমে এটি নিশ্চিতভাবে এক সাশ্রয়ী অপশন হিসেবে উল্লেখযোগ্য হয়েছে।
Tata Nexon CNG: আশ্যবাদ্ধ মূল্য।
বর্তমানে Tata Nexon গাড়িটি পেট্রোল, ডিজেল এবং ইলেকট্রিক অপশনে উপলব্ধ। এটি ব্যবহারকারীদের পছন্দের মধ্যে রয়েছে কারণ এটির বিভিন্ন অপশন একই সাথে সম্মিলিত রয়েছে। এটির ট্রান্সমিশনের অপশনও বিভিন্ন, যেমন ৬-স্পিড ম্যানুয়াল, ৭-স্পিড DCA, ৬-স্পিড এএমটি এবং ৫-গতির এমটি।
Tata Nexon আইসিই ভার্সনের দামের বিষয়ে বর্তমানে আকর্ষণীয় মূল্যে প্রদান করা হয়ে থাকে। দামের পরিবর্তনশীলতা রয়েছে পেট্রোল এবং ডিজেল ভার্সনে উভয়ে। এক্ষেত্রে, পেট্রোল ভার্সনের দাম ৮.১৪ লাখ থেকে ১৫.৮০ লাখ টাকা এক্স-শোরুমে মূল্যায়ন করা হয়েছে। ডিজেল ভার্সনের দাম একেবারে মিল করে উঠেছে একই রেঞ্জে।
আরও একটি স্বাভাবিক উপকারিতা বিবেচনা করে, Tata Nexon CNG-র মূল্য অনুমান করা হচ্ছে ৯.৫০ লাখ থেকে ১০.৫০ লাখ টাকা (এক্স-শোরুমে)। এই সংক্রান্তে সম্মানিত মূল্য প্রদান করে গাড়িটির প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে ইকোনমিক্যাল অপশন প্রদান করে।
Tata Nexon CNG: সম্ভাব্য বৈশিষ্ট্য, মাইলেজ পরিমাপন
টাটা নেক্সন সিএনজি মডেলে আসছে একটি ১.২ লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিনের পরিবর্তে সিএনজি ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন বাজারের চলতি পেট্রোল ভার্সনের মুল ক্ষেত্রে সামান্য কম শক্তি এবং টর্ক প্রদান করতে পারে, যা প্রায় ১১৮ এইচপি এবং ১৭০ এনএমের পরিবর্তে হতে পারে। এটির সাথে টুইন সিলিন্ডার সিএনজি ট্যাঙ্ক সহ থাকতে পারে।
এই নতুন মডেলের অনুমান করা হচ্ছে যে সিএনজি ইঞ্জিনের আউটপুট সামান্য পেট্রোল ভার্সনের চেয়ে কম হতে পারে। এটি মূলত প্রযুক্তিগত কারণে এমন হতে পারে, যেমন সিএনজি ইঞ্জিনের কার্বন ফুটপ্রিন্ট নিয়ন্ত্রণ করা, উচ্চ এফিসিয়েন্সি অর্জন করা ইত্যাদি। তবে, সিএনজি ইঞ্জিনের উপাদানে নিশ্চিত হওয়ার পরিবর্তে তার সহজলভ্যতা এবং মূল্যের সুবিধাও অন্যান্য মাত্রার বিষয়।
এই নতুন ফিচার নিয়ে টাটা নেক্সনের আগামী সিএনজি মডেলের সাহায্যে গ্রাহকদের বেশি কার্বন ফুটপ্রিন্ট নিয়ন্ত্রণ করা এবং ইঞ্জিন এফিসিয়েন্সি বাড়ানোর মূল লক্ষ্য হতে পারে। এই মডেলটির সাথে সহজলভ্যতা এবং এক্সট্রা ফিচার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
Tata Nexon CNG-এ আমরা প্রয়োজনীয় ফিচারগুলির এক তালিকা পেতে পারি। এখানে ১০.২৫ ইঞ্চি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, যা নিখুঁত এবং মডার্ন ডিজাইনের সাথে গাড়ির উপর নেভিগেট করার সুবিধা সরবরাহ করে। অতিরিক্ত একটি টাচস্ক্রিন সিস্টেম রয়েছে, যা গাড়ির মালিকের জন্য একটি প্রয়োজনীয় মোবাইল ইন্টারফেস সরবরাহ করে।
গাড়ির ইঞ্জিন চালিয়ে নিয়ে সমস্ত সুবিধা পেতে আরও কিছু ফিচার রয়েছে, যেমন ওয়্যারলেস স্মার্টফোন চার্জার, টু স্পোক স্টিয়ারিং হুইলে ইলুমিনেটেড টাটা লোগো, এসি কন্ট্রোল, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট এবং ওয়্যারলেস অ্যান্ড্রয়েড অটো সহ। এই ফিচারগুলি গাড়ির ইঞ্জিন চালিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা সরবরাহ করে।
এই সমস্ত ফিচারের সমন্বয়ে, Tata Nexon CNG গাড়ি সহজেই উত্তম গাড়ির অভিজ্ঞতা সরবরাহ করে এবং গাড়ির মালিকদের সুবিধা সরবরাহ করে যে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের অভিযানে সহায়তা করে যাচ্ছে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
[sp_easyaccordion id=”5978″]
উপসংহার
সমগ্র বিবেচনার উপরে, টাটা নেক্সনের সিএনজি মডেল সহজলভ্যতা এবং কম খরচে গাড়ি চালানোর সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এটি গাড়ি চালানোর খরচ কমিয়ে দেওয়ায় ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক ব্যয়ে অপেক্ষার মানে বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে মারুতির বিপরীতে টেক্কা দেবে টাটা নেক্সন।
আরও তথ্য সম্পর্কে আমরা অপেক্ষা করছি, তবে টাটা নেক্সন সিএনজি মডেলের আগামী সফলতা আশা করা যায় যেখানে ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক ব্যয়ের সহজলভ্যতা এবং কম খরচে গাড়ি চালানোর মাধ্যমে কারবন ফুটপ্রিন্ট নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তিগত উন্নতির প্রেরণায়, টাটা নেক্সন সিএনজি মডেল প্রতিষ্ঠিত গাড়ি পরিবেশ বান্ধব এবং পরিবেশের দিকে ধারণ করা হতে পারে।